দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ নানা দেশের নেতা মন্ত্রীরা একে এক মোদী সরকারের কৃষি বিল নিয়ে মুখ খুলেছেন। এবার তাতে নাম লেখালেন তিন বারের কংগ্রেসমেন সিলিকন ভ্যালি থেকে নির্বাচিত ইন্দো-আমেরিকার রো খান্না। রো জানান যে, ভারত এবং আমেরিকা বহুদিন ধরে যেকোনো আন্দোলনকে শান্তি ও গণতন্ত্রের পথেই চালনা করেছে। যেখানে কৃষকরা আমাদের দেশের মেরুদণ্ড সেখানে তাদের পরিবার পরিজনের কথা ভেবে সরকার তাদের সঙ্গেও নিশ্চয়ই শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখবে। এই বার্তা দিয়ে টুইট করেছেন রো খান্না।
খান্না আরো জানিয়েছেন যে, যেসব আইন প্রণেতারা এই বিল তৈরি করেছেন তারা নিশ্চয়ই দেশের ও দশের কথা ভেবে কাজটি করছেন। কিন্তু অন্যদিকে খান্না জানাচ্ছেন যে, কংগ্রেসের আমেরিকার-শিখ শাখার অফিসে যে কৃষকদের উপর নির্যাতনের খবর এসে পৌঁছেছে তাতে আমরা খুব মর্মাহত। এই খবরের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসম্যান জন গ্যারামেন্ডি সমেত আরো দুজন সেনেটর আমেরিকার ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিক তরণজিৎ সিং সাধুকে একটি খোলা চিঠি লেখেন। চিঠিতে জানানো হয় যে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের উপর দিল্লী সীমান্তে কিরকম নির্যাতন হয়েছে ও তারা এই কৃষিবিরোধী আইনের বিরোধিতা করছে।
আরো পড়ুনঃমোদীর পক্ষ নেওয়ায় বরিস জনসনকে ভর্ৎসনা করলেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ
সূত্র অনুযায়ী আরো জানা যাচ্ছে যে, এই পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষক পরিবারের অনেকেই আমেরিকার বাসিন্দা। তারা দিল্লী সীমান্তের সংঘর্ষ ও একনাগারে চলতে থাকা আন্দোলন নিয়ে খুবই চিন্তিত। তারা সকলে আমেরিকান গভর্মেন্টের কাছে অনুরোধ করেছে তারা যেন দিল্লী অবধি তাদের এই দুশ্চিন্তার খবর পৌঁছে দেন।
যদিও এখনো বৈঠকের পর বৈঠক হয়ে গেলেও এই নিয়ে চিড়ে ভেজেনি কোনো মহলেই। কৃষক আন্দোলন দিন দিন আরো বেড়ে উঠছে। তার মধ্যে বিদেশ থেকে থেকে একের পর এক মন্ত্রবাণে স্বাভাবিক অস্বস্তিতে পরেছে মোদী সরকার। হাউডি মোদী নিয়ে যে সাড়া আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়রা তুলেছিল, তা এখন ম্রিয়মান। ট্রাম্পের বিদায় ঘন্টার সঙ্গে মোদী-আমেরিকা যোগ এখন অন্য মোড়ে দাঁড়িয়ে। এই মুহূর্তে আমেরিকা থেকে এই বার্তা চিন্তায় রাখছে দিল্লীকে।