দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৪০০ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ। সেখানকার এক মাধ্যমিক স্কুলে এক বন্দুকবাজ হামলা করে বলে খবর। আর সেই হামলায় ভয় পেয়ে স্কুলের সকল শিক্ষার্থী নিখোঁজ! ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সূত্রে খবর প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় মোটরবাইকে চড়ে কিছু বন্দুকধারীরা এসে ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে। আর এতেই ভয় পেয়ে শিক্ষার্থীরা পালিয়েছে।
কাটসিনা রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র গাম্বো ইসাহ এক বিবৃতিতে বলেন, শুক্রবার রাতে কাঙ্কার গভর্নমেন্ট সায়েন্স সেকেন্ডারি স্কুলে একদল ডাকাত একে ৪৭ রাইফেল দিয়ে গুলি করে। গভর্নমেন্ট সায়েন্স সেকেন্ডারি স্কুল নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ৬০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এটি কাতসিনা অঙ্গরাজ্যের কানকারা এলাকায় অবস্থিত।


যদিও শনিবার নাইজেরীয় সেনা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, ঐসব বন্দুকধারীদের আস্তানা সেনা খুঁজে পেয়েছে এবং তাদের সঙ্গে কিছুক্ষণের বন্দুকযুদ্ধও হয়েছে। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি এ হামলার নিন্দা করেছেন। তাঁর মতে যেসব শিক্ষার্থী স্কুল থেকে নিখোঁজ হয়েছে তা খুঁজে দ্রুত খুঁজে বের করা প্রয়োজন। সেই মর্মে তিনি নির্দেশও দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে স্কুলের কাছে গুলির শব্দ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: এবার কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখর সিলিকন ভ্যালির ইন্দো-আমেরিকান কংগ্রেস নেতা!
যদিও স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে স্কুলের নিরাপত্তাকর্মীরা বন্দুকধারীদের প্রতিরোধ করেছিল। সেই প্রতিরোধের মুখে পড়ে বন্দুকধারীরা পিছু হটলেও ভয়ে পাঁচিল টপকে পালিয়ে যায় ওই স্কুলের ৬০০ শিক্ষার্থী। নিখোঁজ হওয়াদের মধ্যে ২০০ জন ফিরে আসলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বন্দুকধারীরা বেশ কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীদেরকে তাদের সাথে নিয়ে যেতে দেখেছেন।
সবচেয়ে গুরুতর ঘটনাটি ঘটে ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে, যখন জিহাদি গ্রুপ বোকো হারামের সদস্যরা উত্তর-পূর্ব বোর্নো রাজ্যের চিবোকে তাদের স্কুলের ছাত্রাবাস থেকে ২৭৬ জন মেয়েকে অপহরণ করে। প্রায় ১০০ জন মেয়ে এখনো নিখোঁজ। সাম্প্রতিক হামলাটি উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় সক্রিয় বেশ কয়েকটি ডাকাত দলের একটি দ্বারা পরিচালিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই দলগুলো মুক্তিপণের জন্য মানুষকে অপহরণের জন্য কুখ্যাত।