দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: মাত্র কয়েকদিন আগেই শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের গণটিকাকরণ! আসার আলো জাগতে না জাগতেই নতুন করে উদ্বেগ ইংল্যান্ড প্রশাসনের! সরকারীভাবে জানানো হয়েছে, মিলেছে করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতির সূত্র। প্রভাবিত অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে লন্ডন, কেন্ট, এসেক্সের মতো ইংল্যান্ডের কয়েকটি জনপ্রিয় ও জনবহুল অঞ্চল!
এই বিষয়ে সোমবার ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যসচিব ম্যান হ্যানকক ইংল্যান্ডের সংসদের নিম্নকক্ষে হাউন্স অফ কমন্সে জানিয়েছেন, নতুন প্রজাতির করোনায় আক্রান্ত ১,০০০ জনকে চিহ্নিত হকরেছে স্থানীয় প্রশাসন। নতুন এই ভাইরাস প্রজাতির বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ‘কে জানানোর পাশাপাশি ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরাও বিস্তারিত গবেষণা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা সাধারণের থেকে ৮ গুণ বেশি, জানাল সমীক্ষা
এই বিষয়ে ম্যান হ্যানককের বক্তব্য, “আমরা করোনাভাইরাসের একটি নতুন প্রজাতিকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। যা দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে দ্রুত গতিতে সংক্রমণের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিক গবেষণা অনুযায়ী, বর্তমান প্রজাতির থেকে দ্রুত হারে বাড়ছে নয়া প্রজাতি।” তিনি তাঁর এই বক্তব্যের সাথে আরও জুড়ে বলেন, ‘এই নতুন প্রজাতির মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছে এমন ১,০০০-এর বেশি কেস আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। ৬০ টি স্থানীয় প্রশাসনিক এলাকায় সেই প্রজাতি চিহ্নিত করা হলেও মূলত দক্ষিণ ইংল্যান্ডে (নতুন প্রজাতি) সন্ধান মিলেছে। আর ক্রমশ সেই সংক্রমিতের সংখ্যাটা বাড়ছে।”


তবে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়লেও নয়া প্রজাতির ফলে যে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি ধারণ করেছে তা এখনও প্রমানিত নয়। তবে হ্যানককের উদ্বেগ যে এই করোনা টিকা ওই প্রজাতির ওপরে নাও কাজ করতে পারে। তবে বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে এখনো কোনো তথ্য বা ইঙ্গিত কিছুই মেলেনি। এই পরিস্থিতি যাতে গুরুতর না হয়ে পরে তার জন্য সর্বাধিক পর্যায়ের সতর্কতা জারি করা হচ্ছে আগামী বুধবার থেকেই। আর এই সতর্কতার গন্ডিতে থাকছে লন্ডন সহ বাকি উপদ্রুত অঞ্চলগুলি। তবে আশঙ্কা একটাই, পুরোনো প্রজাতির থেকে এই প্রজাতির সংক্রমণের গতিবেগ ‘অত্যন্ত দ্রুত’!