দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ নেপালের বিক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী কে.পি.শর্মা ওলি রবিবার সংসদ ভেঙ্গে ফেলার সুপারিশ করেছিলেন আগেই। আর তার কথা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বিদ্যদেবী ভাণ্ডারী হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস ভেঙ্গে ফেলার অনুমতি দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে দেশে ৩০ এপ্রিল এবং ১০ মে, ২০২১ তারিখে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ নাইজেরিয়ার স্কুল থেকে উধাও ৬০০ জন পড়ুয়া, সন্দেহর তির এক বন্দুকবাজের দিকে
বর্তমান প্রধানমত্রী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কামাল দাহাল-এর মধ্যে ক্ষমতা লরাইয়ের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে চলা সংঘর্ষের ফলাফল এটি বলে মনে করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র স্থায়ী কমিটির সদস্য সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী ওলির সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এক জরুরী বৈঠকে সংসদের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস ভেঙ্গে ফেলার জন্য রাষ্ট্রপতি বিদ্যদেবী ভাণ্ডারীকে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস বা নেপাল মন্ত্রিসভা নির্বাচন হয় শেষ ২০১৭ সালে তাতে এখন ২৭৫ জন সদস্য আছে। প্রধানমন্ত্রী অলি মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছেছেন। ক্ষমতাসীন এনসিপিতে আন্তঃদলীয় দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মনে হচ্ছে। ক্ষমতাসীন এনসিপির দুই দলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের মধ্যে প্রচন্দ এবং মাধব নেপাল দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অলিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। জুন মাসে ৬৮ বছরের অলি দাবি করেন যে তার সরকার তিনটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করে দেশটির রাজনৈতিক মানচিত্র প্রত্যাহার করার পর তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই দাবি অবশ্য অস্বীকার করেছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি.কে.ডি.প্রচণ্ড।