দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ যখন বাকি বিশ্ব নতুন অত্যন্ত সংক্রামক মিউট্যান্ট করোনাভাইরাস স্ট্রেন নিয়ে চিন্তিত, তখন অ্যান্টার্কটিকা তার প্রথম কোভিড-১৯ কেসের কথা ঘোষণা করল। এই তুষারাবৃত মহাদেশে চিলির একটি গবেষণা ঘাঁটিতে এই ভাইরাসে পরীক্ষা করা হয়েছিল। নিশ্চিতভাবে ৩৬ জনের মধ্যে ২৬জন চিলির সেনাবাহিনী সদস্য এবং ১০ জন রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীর করোনা পজিটিভ এসেছে। বলা যায় যে এখন বিশ্বের সাতটি মহাদেশই করোনা অতিমারির কবলে চলে এলো।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক পত্রিকা দ্যা গার্ডিয়ান অনুসারে, স্প্যানিশ প্রচার মাধ্যম সোমবার জেনারেল বের্নার্দো ও’হিগিন্স রিকুয়েলমে গবেষণাগারে কোভিড-১৯ মহামারীর সংবাদ প্রথম প্রচার করেছে । ৩৬ জন কোভিড-১৯ রোগীকে চিলির পুন্টা এরিনায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা এখন কোয়ারান্টিনে। জেনারেল বের্নার্দো ও’হিগিন্স রিকুয়েলমে অ্যান্টার্কটিকার ১৩টি গবেষণাগারের মধ্যে অন্যতম একটি।
আরো পড়ুনঃ করোনা ভ্যাকসিন তৈরীতে ‘পর্ক জিলেটিন’! সমস্যাতে ইসলামী বিশ্ব?
তিনজন ক্রু সদস্য যারা একটি জাহাজে মোতায়েন ছিল যারা গবেষণাগারে মূলত সহায়তা প্রদান করে, তারা করোনাভাইরাস টেস্টে পজিটিভ এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, তারাও তাদের মিশন থেকে দেশে ফিরে এসেছে। কোভিডের যাতে আরো বিস্তার না হয় তার জন্য অ্যান্টার্কটিকার সকল প্রধান গবেষণা প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের গবেষণা বিঘ্নিত হয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে যে, অ্যান্টার্কটিকায় কোন আদিবাসী জনসংখ্যা নেই কিন্তু প্রায় ১০০০ গবেষক এবং অন্যান্য পর্যটক শীতকালে দ্বীপ মহাদেশে আসে, কিন্তু করোনা যদি এখানে এভাবে হানা দেয় তবে পরীক্ষা নিরীক্ষায় এক বিরাট বিপর্যয় নেমে আসবে। বেশ কিছু গবেষণাগারে সর্বক্ষণের জন্য কাজ চলে যারা বিশ্ব-উষ্ণায়ন ও আবওহাওয়ার খবর পৌঁছে দেইয় দুনিয়ার নানা প্রান্তে, সেইকাজে বিঘ্ন ঘটলে আবওহাওয়ার তড়িৎ বদল জানা যাবে না।