দ্য কলকাতা মিরর ব্যুরো :এ যেন এক উলটপুরাণের দেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা সুরক্ষাবিধির আদেশকে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ডাচ সরকারের নয়া ঘোষনায় আড়োলন বিশ্বজুড়ে। বড়ো অদ্ভুত দাবি ডাচ সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা মন্ত্রী তামারা ভ্যান আর্কের, চলতি সপ্তাহেই দ্য হেগ এ অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক বৈঠকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আর্কের ঘোষনা মহামারী করোনা মোকাবিলায় নন মেডিকেল মাস্ক পড়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। কারণ হিসেবে তাদের দাবী একটু আগন্তুক, নন-মেডিক্যাল মাস্ক করোনা মোকাবিলায় সদর্থক এমন প্রমাণ এখনো অমিল, ইউরোপ অন্য দেশগুলিতে শপিং মল কিংবা রাস্তায় মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক হলেও নেদারল্যান্ডসে শুধুমাত্র গন পরিবহনের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম বলবৎ।
‘দেশের সরকারের কাছে 1.5 মিটারের সামাজিক দূরত্ববিধির নিয়মটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপ,এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী তমারা ভ্যান আর্ক। ‘চিকিৎসার দৃষ্টিকোণ থেকে, মাস্ক পরার কোনও কারণ নেই’। রটারড্যাম এবং আমস্টারডামের মতো দেশের বড়ো শহর গুলিতে দ্রুতলয়ে বাড়ছে সংক্রমণের হার, সম্ভবত সেই সব জায়গায় করোনা মোকাবিলায় জোড়ালো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে, আঞ্চলিক আইনগুলির আইনী রূপগুলি এখনও কার্যকর হয়নি। জাতীয় ইস্টিটিউড ফর পাবলিক হেলথ অ্যান্ড এনভায়নমেন্ট এর জাপ ভ্যান দিজেলের মতে ‘ করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি রোধ বাধ্যতামূলক মাস্ক পড়া থেকে নিয়ন্ত্রন সম্ভব নয়। বেশিরভাগ নতুন সংক্রমণ পারিবারিক অনুষ্ঠান, শিক্ষার্থীদের পার্টি এবং বারবিকিউগুলি থেকে হয়েছে, যেখানে অধিকাংশ মাস্ক পড়া সত্বেও আক্রান্ত, তাই সামাজিক দূরত্ববিধির নিয়ম দেশে অধিক গুরুত্বপূণ’।