দ্যা ক্যালকাটামিরর ব্যুরো: ‘বৈশ্বয়িক করোনা মহামারী আসলে একপ্রকার দীর্ঘস্থায়ী বিপর্যয়; হ্যাঁ এমন ভাবেই কোভিড-১৯ কে আখ্যায়িত করলেন টেড্রোস ঘেব্রেইয়েসুস। এই বিপর্যয়ের মোকাবেলা করতে গিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের অভিমত- “ভবিষ্যতে সমগ্র বিশ্বে করোনার এক দীর্ঘস্থায়ী কুপ্রভাব পড়তে চলেছে।
‘এই মহামারীর জেরে বিশ্বব্যাপী এক গভীর স্বাস্থ্য সংকট দেখা দিয়েছে। যা গত একশো বছরের মধ্যে ঘটেনি। আগামী কয়েক দশক এর রেশ বোঝা যাবে।’ -গত শুক্রবার জেনিভায় WHO-এর জরুরি কমিটির বৈঠকে এমনটিই বিবৃতি দিয়েছেন টেড্রোস ঘেব্রেইয়েসুস।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই নোভেল করোনাভাইরাসে এখনও পর্যন্ত বিশ্বে ৬ লক্ষ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্ত কমপক্ষে ১ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ। চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে গত কয়েক মাস ধরে লাগাতার মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। বিগত কয়েক সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, মেক্সিকো এবং ব্রিটেন সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে।
মূল সমস্যা হলো এই সমস্ত দেশের সরকার এই সংক্রমণ রুখতে এখনও পর্যন্ত কোনও কার্যকরি সুনির্দিষ্ট রণকৌশল স্থির করতে পারেনি। যার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। শুধু স্বাস্থ্য নয়, সংক্রমণের শৃঙ্খল ভঙ্গ করতে বিধিনিষেধের টানাপোরেনে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও দারুনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে এদের ব্যতিক্রম নয় ভারতও। ভারতে এই মূহুর্তে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড হারে বেড়ে প্রায় ১৬ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখন একদিনে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত এই রোগের বলি হয়েছেন ৩৫,৭৪৭ জন। বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পরছে। এমনকি তাঁরা আশঙ্কা করছেন যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক হারে দ্বিতীয় পর্যায়ের গোষ্ঠী সংক্রমন আসন্ন।
যদিও গত সপ্তাহেই এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছিলেন-, ‘যে সমস্ত দেশ ভেবেছিল তারা করোনার ভয়াবহতাকে পার করে গিয়েছে সেখানে নতুন করে সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। গত কয়েক সপ্তাহ আগেও যে সমস্ত দেশে এই মারণ ভাইরাসের প্রভাব খুব কম ছিল সেখানে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।’
তাঁর এই বক্তব্য যে যথেষ্ট উদ্বেগের তা আমেরিকার মৃত্যু গ্রাফ দেখলেই আরও বেশি স্পষ্ট হচ্ছে। যদিও বিভিন্ন দেশের এগিয়ে থাকা ফারমা কোম্পানীগুলি এই রোগের ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে যার মধ্যে রাশিয়া, ইংল্যান্ড ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ভারতের তৈরি কোভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই যথেষ্ট সারা ফেলেছে।