দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ড্যানিয়েল পার্ল মামলায়, পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের রায় কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না আমেরিকা। এই মামলার রায় নিয়ে এর আগে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। তবে ফল না হওয়ায় এবার সরাসরি পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ফোন করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
সূত্রের খবর দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় কথা হয়। মার্কিন বিদেশসচিবের কথায় এটা স্পষ্ট হয় সুপ্রিম কোর্ট রাযে় খুশি নয় আমেরিকা।এদিন পাকিস্তানি বিদেশ মন্ত্রী কুরেশকে, তাঁর হাতে থাকা সব রকম আইনি পদ্ধতি যাতে মেনে চলে পাকিস্তান,তার অনুরোধও করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন আইনের ফাঁক দিয়ে অভিযুক্তরা যেন কোনও ভাবেই ছাড়া না পেয়ে যায়, সে বিষয়ে পাকিস্তান সরকারকে যেন উদ্যোগী হন।
এসব ছাড়াও দুপক্ষের মধ্যে কথা হয় আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া নিয়েও।পাশাপাশি উঠে আসে দু দেশের বাণিজ্যিক সম্ভাবনার কথাও। উল্লেখ্য প্রায় কুড়ি বছর আগে, আমেরিকার দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দক্ষিণ এশিয়ার ব্যুরোর প্রধান ড্যানিয়েল পার্লকে গলা কেটে খুন করেছিল জঙ্গিরা। পরে সেই ভিডিও পাঠানো হয়েছিল মার্কিন দূতাবাসে।
পার্লকে হত্যার কারন ছিল তিনি পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন কীভাবে কাজ করে, এই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত ভিত্তিক খবর করছিলেন। এরপরই পাকিস্তানের করাচির রাস্তা থেকে দিনের বেলায় অপহরণ করা হয়েছিল তাঁকে। কিছুদিন পর শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয় তাকে।
গোটা ঘটনার মূল অভিযুক্ত আহমেদ ওমর সৈয়দ শেখকে প্রথমে পাকিস্তানের একটি নিম্ন আদালত প্রাণদণ্ড দিলেও পরে তা সাত বছরের কারা দণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়। এবং দিন তিনেক আগে সেই জঙ্গি নেতাকে বেকসুর খালাস করেছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। যদিও সিন্ধু প্রদেশের আদালত জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা রিভিউ পিটিশন দেবে।রায় প্রকাশের পর পরই, ড্যানিয়েলের পরিবার এই রায় নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। তাঁরা জানিয়েছে এই রায় বহাল থাকলে ভবিষ্যতে এমন অপহরণ এবং খুন আবারও হতে পারে। দোষীদের মৃত্যুদণ্ড ছাড়া অন্য কোনও শাস্তি যথেষ্ট নয় মনে করেন ড্যানিয়েলের পরিবার।
লেখা সুপর্ণা পোদ্দার