দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: প্রথম মহাকাশ যান পাঠানোর মতই প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আবিস্কারে ও বাজার জাত করার খবরে চমকে দিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু সঠিক বৈজ্ঞানিক উপায়ে অপরীক্ষিত সেই ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক’র অবসান নেই। কিন্তু রাশিয়া নাছোড়বান্দা। প্রতিষেধক উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে মস্কো। আর মানুষের মনে বিশ্বাস তৈরি করতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মেয়েকেই প্রথম টিকাটি দেওয়া হয়েছে। তবে এক দুদিন ধরে একটি খবর ইন্টারনেটে ঝড় তুলেছে। আর সেই খবর অনুযায়ী, ওই প্রথম টিকা নেওয়ার পরই নাকি মৃত্যু হয়েছে পুতিনের মেয়ের!
হ্যাঁ, এমনই দাবি করছে টরন্টো, কানাডা’র একটি ওয়েবসাইট। তাদের দাবি গত ১৫ অগস্ট রাশিয়ায় আবিষ্কৃত করোনা প্রতিষেধকের প্রথম টিকা নেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের মেয়ের। শুধু লিখিত খবর নয় এর সাথে একটা ভিডিও’ও প্রকাশ করেছে তারা।
আসলে এই খবরটি ভুয়ো। কারণ, পুতিনের পরিবার বা ক্রেমলিনের তরফে এমন কোনও বিবৃতি আসেনি। মস্কোর কোনো বড় সংবাদমাধ্যমে প্রেসিডেন্টের মেয়ের প্রয়াণের কোনও খবর ছাপা হয়নি। প্রসঙ্গত, মেয়েকে করোনা টিকা দেওয়া হবে, এই ঘোষণার সময়ই ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ের শরীরের তাপমাত্রা ছিল ১০০.৪ ফারেনহাইট। ওইদিনই প্রথম টিকা দেওয়া হয়েছিল তাকে। জানা যায়, পরের দিনই তাপমাত্রা ৯৮.৬ ফারেনহাইটে নেমে আসে।
তাছাড়াও ওই ওয়েবসাইটের রিপোর্টে যে ইউটিউব ভিডিয়োর কথা বলা হয়েছে, সেটি আসলে একটি জ্যোতিষ ওয়েবসাইট। যার নীচে লেখা রয়েছে, ‘সত্যি হতেও পারে নাও হতে পারে।’
এই ভুয়ো খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ছড়িয়েছে। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার করোনা প্রতিষেধক ব্যবহারের পরই প্রয়াত হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিনের মেয়ে। তবে ক্রেমলিন এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, গত ১২ অগস্ট থেকে তৃতীয় পর্যায়ে করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে রাশিয়া। এই ভ্যাকসিন মস্কো ছাড়াও পশ্চিম এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার ২ হাজারের বেশি মানুষের উপর প্রয়োগ করা হবে।