দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ‘দ্য মোস্ট ওয়ান্টেড’ ডন দাউদ ইব্রাহিম নিরাপদেই বসবাস করছেন পাকিস্তানে! হ্যাঁ এমনটাই স্বীকার করেছে ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। দাউদের ঠিকানা করাচির ক্লিফটন রোড। বিগত তিন দশক ধরে ভারতের দাবি উপেক্ষা করে এসেছে ইসলামাবাদ। কিন্তু সম্প্রতি এফএটিফির চাপে পড়ে সেই দাবি স্বীকার করতে বাধ্য হল ইমরান খানের সরকার।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই এফএটিএফ ৮৮জনের বিশ্ব সন্ত্রাসবাদীদের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকাতে সেই সব দুষ্কৃতীর নাম দেওয়া আছে যে সন্ত্রাসবাদীরা নানাভাবে সংশ্লিষ্ট দেশের আশ্রয়ে থেকে বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। প্যারিসের এই সংস্থা এবার সেই সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ওই দেশগুলোর বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপাতে তৎপর। সুত্র মারফত খবর নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচতে তড়িঘড়ি ‘কাঙাল’ পাকিস্তান দাউদকে আশ্রয় দেওয়ার কথা স্বীকার করলো।
সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে এফএটিএফ এর জবাবি চিঠিতে পাকিস্তান জানিয়েছে, “গত কয়েক বছরে তারা হাফিজ সইদ, মাসুদ আজহার ও দাউদ ইব্রাহিমের ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাদের সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।” যদিও এর মধ্যেই পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করেছে এফএটিফি।
এই ধুসর তালিকা ভুক্ত হওয়ার কারণে পাকিস্তানের সাথে অবাধ বাণিজ্যে জাল টানবে বিশ্বের অন্য দেশগুলো। এমনিতেই সৌদি আরব ইতিমধ্যে পাকিস্তানের হাবেভাবে অসন্তুষ্ট এবং পাকিস্তানের ওপর অনেক বড় মাপের ঋণ ফেরতের চাপ দিচ্ছে ফলতই আর্থিক ভাবে ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে আছে ইসলামাবাদ। তাই সিন্দুক সামলাতেই এমন স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের এমনতাই দাবি করেছেন ভারতের প্রাক্তন আমলা ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে পাকিস্তান সরকারের দাবি অনুযায়ী এই মূহুর্তে ডন দাউদের বর্তমান ঠিকানা: হোয়াইট হাউস, সৌদি মসজিদ ক্লিফটন করাচি। এই ঘোষণার বাইরে ৩০ স্ট্রিট, ডিফেন্স, হাউজিং অথরিটি, করাচি আর নূরাবাদ করাচিতে দাউদের আরও দুটি বাংলো রয়েছে।