দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: নেপালের পর্যটন বিভাগের সরকারী তথ্য অনুযায়ী মাউন্ট এভারেস্টে ভারতীয় পর্বতারোহীর সংখ্যা গত কয়েক বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ওই তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে মোট ৭৮ জন ভারতীয় পর্বতারোহী বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গে আরোহণের অনুমতি পেয়েছেন। আগের বছরে এই সংখ্যা ছিল ৫৯। তাদের দাবি বছর বছর এভারেস্ট অভিযানের ক্ষেত্রে ভারতীয় পর্বতারোহীদের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।
নেপাল পর্বতারোহণ ক্ষেত্র থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে এবং সময়ের সাথে সাথে ভারতীয় পর্বতারোহীদের সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই আয়ে একটি বড় অবদান রেখেছে। ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত হিমালয়ের তথ্যভাণ্ডারের রেকর্ড অনুযায়ী, মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষে থাকা ৫,৭৮০ জন পর্বতারোহীর মধ্যে ৪৮৮ জনই ভারতীয়।
অল নেপাল হাইকিং অ্যান্ড এক্সপিডিশন-এর মিঠুন শ্রেস্তা বলেন- “আমরা মাউন্ট এভারেস্টে আরোহণের জন্য উৎসাহী ভারতীয়দের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক অনুসন্ধান পেয়েছি। বিশেষ করে, তারা নেপালের অন্যান্য আট হাজার মানুষের তুলনায় বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গতে আরোহণ করতে আগ্রহী।”


তিনি আরও যোগ করেন যে -“কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে আমরা আগামী বছরের জন্য আমাদের অভিযান পরিকল্পনা পিছিয়ে দিয়েছি। আশা করি আমরা আসন্ন বসন্ত মৌসুমে পর্বত উৎসাহীদের একত্রিত করতেপারব যা হয়তো এখনো অনেক দূরে, কিন্তু আমরা আশায় আছি।”
পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতের চূড়ায় একটি অভিযানের খরচ প্রায় ৪০ হাজার মার্কিন ডলার (নেপালের স্থানীয় অভিযাত্রী কোম্পানির মাধ্যমে গেলে)। ৪০ হাজার মার্কিন ডলারের মধ্যে নেপাল সরকার রয়্যালটি ফি হিসেবে ১১,০০০ মার্কিন ডলার পায়।
২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে পাহাড় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নেপাল এই অভিযান থেকে প্রাপ্য তার সমস্ত রাজস্ব হারায়। মার্কিন নাগরিকরাই মূলত: ২০১৭-১৮ সালে এভারেস্ট আরোহণের অনুমতি প্রাপ্তদের তালিকার শীর্ষে ছিল।
২০১৯ সালে ভারতীয়রা দেশের ভিত্তিতে গৃহীত অনুমতির তালিকার শীর্ষে ছিল। হিমালয়ের ডাটাবেসের হিসেব অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে প্রথম আরোহণ থেকে শুরু করে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এভারেস্ট শৃঙ্গে আরোহণে মোট ২০ জন ভারতীয় পর্বতারোহী প্রাণ হারিয়েছেন।