দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : রাশিয়ান স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাশিয়ার গামালিয়া গবেষণা কেন্দ্র থেকে ‘স্পুটনিক-ভি’ নামে অভিহিত দেশের প্রথম করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে এবং এটির পরবর্তী ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। এর আগে ১১’ই আগস্ট মস্কোতে আনুষ্ঠানিকভাবে গামালিয়ার এই ভ্যাকসিন নিবন্ধভুক্ত হয়। এমনকী রাষ্ট্রপতি পুতিন নিজের মেয়ের শরীরেও এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেন। এটি ‘সারস-কোভি-২’ ভাইরাস, যার ফলে কোভিড-১৯ বা করোনা রোগ হয়, তার বিরুদ্ধে বিশ্বের প্রথম ঘোষিত ভ্যাকসিন।
রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে ‘স্পুটনিক-ভি কোভিড-১৯’ ভ্যাকসিনের পোস্ট-রেজিস্ট্রেশন ট্রায়ালগুলি মস্কোর বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র পরিচালিত মেডিকেল প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হবে। গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) সহযোগিতায় একটি অ্যাডেনোভাইরাস ভেক্টর-ভিত্তিক ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে।
আরও জানা গিয়েছে টিকা দেওয়ার দিন থেকে আগামী ছ’মাস ধরে প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবীর প্রতি নজর রাখা হবে। এই টিকাকরণ ক্যাম্পেনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ১৮ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সের স্বেচ্ছাসেবীর ওপরে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। মোট ৪০,০০০ জনের উপর পরীক্ষা করা হবে। গামালিয়া গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক আলেকজান্ডার গিন্টসবার্গ বিশদ ভাবে পদ্ধতিটি ভাগ করেছেন।


গামালিয়া গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক আলেকজান্ডার গিন্সবুর্গের মতে “সমস্ত নথি অনুসারে, আমাদের অবশ্যই এই চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতে পৌঁছে দিতে হবে এবং যদি আমরা এটি সেপ্টেম্বরের প্রথমদিকে পৌঁছে দিতে পারি তবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবীদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করা যাবে।”
যদিও অনুষ্ঠানিক ঘোষণা করার আগে ‘স্পুটনিক-ভি’ ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপ বা তার চেয়ে বড় কোনো ক্লিনিকাল পরীক্ষা করা হয়নি। তবে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে এই জ্যাবটি প্রয়োজনীয় সমস্ত পরীক্ষা করিয়েছে এবং এটি ‘নিরাপদ এবং কার্যকর’ প্রমাণিত হয়েছে। আরডিআইএফ-র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিরিল দিমিত্রিভ দাবি করেছেন যে তিনি তাঁর নিজের পিতা-মাতাকে এই টিকা দিয়েছেন এবং কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় নি।
তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, ‘স্পুটনিক-ভি’ ভ্যাকসিনের তিন ধাপের ট্রায়াল তৈরি ও পরিচালনার জন্য রাশিয়ার সরকার ভারতের সাথে অংশীদারিত্ব চাইছে। ভারতে বর্তমানে তিনটি করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন কোম্পানী কাজ করছে। যার মধ্যে দুটি দেশীয় কোম্পানীর ভ্যাকসিন রয়েছে, যা ক্লিনিকাল তদন্তের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী, প্রায় ১০০ টি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। ইতিমধ্যে তিন ধাপের পরীক্ষায় রয়েছে সাত কোম্পানী।