দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনা মহামারীর সাথে লড়াই করছে আফগানিস্তান। এমনিতেই তালিবান অধ্যুষিত এই গরীব দেশটির করোনা কারণে ক্ষতি হয়েছে প্রচুর পরিমানে কিন্তু সেই সমস্যার ওপরে সম্প্রতি বন্যা হওয়ায় সর্বশান্ত হয়েছে দেশটা। ইতিমধ্যে আফগানিস্তানের উদ্ধারকর্মীরা বন্যায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান করেছে। তাদের অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে কাবুলের কাছে প্রায় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। বন্যায় প্রচুর বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। কর্মকর্তারা একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছেন। রাতারাতি হওয়া মুষলধারে বৃষ্টির কারণে তুমুল বন্যার শিকার পারওয়ান প্রদেশের রাজধানী চারিকার। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে সরকারী বেসরকারী ভবনগুলি। বহু মানুষজনকে বন্যার জল টেনে নিয়ে গিয়েছে।


প্রসঙ্গত, কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতের মধ্যে অধিকাংশই শিশু রয়েছে। ৪৫ বছর বয়সী একজন কৃষক জানিয়েছেন যে তাঁর পরিবারের ১১ জন বন্যায় নিহত হয়েছে। ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনগুলির পাথরের স্তুপ শহর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরেছে। কাদা এবং ধ্বংসাবশেষ দ্বারা আটকা পড়া রাস্তা এবং গাড়িগুলি তাদের পাশে উল্টে রয়েছে। রাষ্ট্রপতিভবন থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি চারিকরকে জরুরি ত্রাণ প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আফগানিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মন্ত্রক জানিয়েছে, বন্যায় নিহতের সংখ্যা ১০০ জনেরও বেশি এবং প্রায় ১০০ জনের কাছাকাছি আহত হয়েছে। যদিও বেসরকারী হিসেবে এই হতাহতের পরিমাণ আরও অনেকটাই বেশি। প্রায় ৫০০ ঘর ধ্বংস হয়েছে। চারিকরের কিছু অংশে, ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে উদ্ধারকর্মীরা ও বাসিন্দারা প্রিয়জনদের ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে বার করতে পারবেন কিনা তার চেষ্টা করে চলেছেন। বহু বাসিন্দাই অব্যাহত ভারী বৃষ্টির মধ্যে ছাদে দাঁড়িয়ে তাদের উদ্ধারকৃত জিনিসপত্র আঁকড়ে রেখেছিলেন।
শুধু আফগানিস্তান নয়, ভারী বৃষ্টিপাতে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানেও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বিগত তিন সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ করাচিতে কর্তৃপক্ষ ধ্বসে পড়া ভবন থেকে, ডুবে যাওয়া এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হওয়া সহ বন্যার সাথে জড়িত বিভিন্ন ঘটনা থেকে এখনো অবধি ৩০ জনের নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে।