দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ যুদ্ধ- বিধ্বস্ত আফগানিস্তান, জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাতে ব্যস্ত সবাই। যুক্তরাষ্ট্রের এক উদ্ধারকারী সামরিক বিমানে করে জার্মানির রামস্টিন বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে একজন প্রসূতি মহিলার প্রসব বেদনা শুরু হয়। ক্রমশ পরিস্থিতি সংকটজনক হওয়ায় বিমানের পাইলট বিমানের উচ্চতা কমিয়ে আনেন, যাতে বাতাসের চাপ বাড়িয়ে প্রসূতির জীবন রক্ষা সম্ভব হয়।
তারপর মার্কিন সামরিক চিকিৎসা কর্মীরা রামস্টিন বিমানবন্দরে ওই নারীর সন্তান প্রসবে সহায়তা করেন। ঘটনাটি টুইট করে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার মবিলিটি কমান্ড। বর্তমানে মা ও কন্যা শিশু দুজনেই সুস্থ আছে, এক স্থানীয় হাসপাতালে রাখা হয়েছে তাদেরকে, জানাচ্ছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, কোন দেশের নাগরিক হবে সে? এক পক্ষ বলছে যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধ করা সামরিক বিমানে জন্ম এবং বিমানটি মার্কিন পতাকাবাহী তাই তার প্রাপ্য মার্কিন নাগরিকত্ব। আবার আরেক পক্ষের মতে, যেহেতু জার্মানিতে অবতরণের পর শিশুটির জন্ম তাই জার্মান নাগরিকত্ব প্রাপ্য তার।


এভিয়েশন বিষয়ক পত্রিকার নিবন্ধে ‘সামনার হাল’ লিখেছেন স্বাভাবিক নিয়মে শিশুর নাগরিকত্ব নির্ধারিত হয় ‘ জুস সঙ্গুইনিস ‘( রক্তের অধিকার) অর্থাৎ বাবা ও মায়ের নাগরিকত্ব অনুযায়ী। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানার মধ্যে জন্ম হলে তাকে নাগরিকত্ব দেয়ার নিয়ম রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বেশ কিছু দেশে। আবার ভৌগোলিক সীমানার বাইরের স্থান, যেমন- দূতাবাস, সামরিক বিমান ঘাঁটি, কনস্যুলেট এ জন্ম নিলেও শিশুটিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না, যদি বাবা অথবা মা এর মধ্যে অন্তত একজনও মার্কিন নাগরিক না হয়। তবে ‘ জুস সলি ‘ বা ভূমির অধিকার হিসেবে আমেরিকার সীমান্তের ভিতরে ১২ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে জন্ম নিলে, সে মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে।
আবার জার্মান নাগরিকত্বের শর্ত হলো, বাবা-মায়ের মধ্যে অন্তত একজনের জার্মান নাগরিকত্ব অবশ্যই থাকতে হবে এবং আনুষঙ্গিক কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে।
তবে শরণার্থী শিশুদের নাগরিকত্বের জন্য একেক দেশে একেক রকম আইন প্রযোজ্য।
লেখা – তানিয়া তুস সাবা