দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ওপর ফতোয়া জারি করল তালিবান। পুরুষরা ও মহিলাদের একসাথে পড়াতে পারবেন না, নিয়ম জারি করা হয়েছে আফগানিস্তানে। শেখ আব্দুলবাকি হাকানিকে আফগানিস্তানের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছে তালিবান সরকার। তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার পর গোটা দেশে এহেন ফরমান জারি হওয়ায় ‘তালিবানি শাসন’ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে হেরাট প্রদেশে নিয়ম জারি করে বলা হয়েছিল ছেলে এবং মেয়েরা শিক্ষাঙ্গনে পাশাপাশি বসতে পারবেন না। এবার কো-এড পড়াশোনার ব্যবস্থার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। তালিবান শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে এবার থেকে শরিয়া আইন মেনেই পড়াশোনা চলবে। ছেলেমেয়েদের একসঙ্গে পড়াশোনার কোনও নিয়ম নেই। ওই শিক্ষাব্যবস্থা তুলে দেওয়া হল বলেই খবর।


অনেক স্কুল বা কলেজে ছেলে ও মেয়েদের পৃথক স্থানে বসতে দেওয়ার জায়গা নেই। আবার জায়গা থাকলেও শিক্ষকের অভাব রয়েছে। নয়া নিয়ম জারি করায় মেয়েদের উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ভয়ংকর প্রভাব পড়বে নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে। ক্ষমতা দখলের পর বলা হয়েছিল নারীদের অধিকার খর্ব করা হবে না। তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, ‘তালিবান ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী নারীদের অধিকার পাইয়ে ডিভিডি। স্বাস্থ্য এবং অন্য দফতরে মহিলারা কাজ করছেন, তাঁরা সেই দফতরে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু তালিবান নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে বলেই দাবি করছেন সেই দেশের সমাজকর্মীরা।
তবে মার্কিন সেনা বিদায় নেওয়ার একদিন আগে তালিবানের তরফ থেকে নয়া ফতোয়া জারি করার ঘটনায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে আফগানিস্তানে। সেই কারণেই ন্যায্য অধিকার চেয়ে গর্জে উঠেছিলেন অনেকে। অনেকে আবার দেশ ছাড়ার জন্য কাবুল বিমানবন্দরে অপেক্ষারত।