দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনার করাল গ্রাসের হাত থেকে বেঁচে থাকার জন্যে প্রয়োজন বাড়তি সচেতনতা। সমগ্র বিশ্ব জুড়েই মাস্ক, স্যানিটারাইজার, সাবানজল -এর ব্যাবহারের পরিমাণ বেড়েছে বহুলাংশে। নিত্য নতুন বিধিনিষেধে গণপরিবহণ ব্যাবহারের সময় গোটা বিশ্বে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর এবার সেই দৌড়ে নিউজিল্যান্ড ও সামিল হলো।
এবার মাস্ক ব্যাবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে নিউজিল্যান্ডেও। আর ঐ দেশের প্রধানমন্ত্রী জ্যাকিন্ডা আর্ডার্ন নিজেই অগ্রণী হয়ে তৈরী করেছেন মাস্ক। হ্যা, নিজের হাতে আর এমনটাই ফেসবুকে পোস্ট করে জানিয়েছেন তিনি।
মূলত: দেশবাসীকে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্যে সচেতন করার উদ্দেশ্যেই তাঁর এই পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডে কড়া লকডাউন জারি করেছিলো সেই দেশের সরকার। আর লকডাউন জারি করে প্রায় ৫০ লক্ষ জনসংখ্যার সেই দেশে করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পেরেছিল। আর এর ফলে সেই দেশে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধকে প্রত্যাহারও করা হয়। তবে বিধি নিষেধ প্রত্যাহারের পর অকল্যান্ডে এ মাসে ফের নতুন করে ৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের খোঁজ মেলে। এবং বিদেশ থেকে আসার পর আরও সাতজনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এমতবস্হায় আবারও সেখানে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সেই দেশের সরকার। এবং এই বিধিনিষেধে বাড়ির বাইরে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তাই এই মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে ও জনগনকে আরও বেশি সচেতন করতে বাড়িতেই নিজের হাতে মাস্ক তৈরী করলেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এবং এই সঙ্গে কীভাবে নিজ হাতে নিজের মাস্ক তৈরি করা যায়, দেশবাসীকে তাও শেখাতে চেয়েছেন তিনি।
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সেই ভিডিও পোস্ট করে আর্ডার্ন জানিয়েছেন, “প্রথম চেষ্টাতেই মাস্ক তৈরি করতে সফল হয়েছেন তিনি। নিজের দল লেবার পার্টির রংয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লাল রংয়ের একটি সাধারণ মাস্ক তৈরি করেছেন।” তবে এ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে ১৪০০ জনেরও কিছু কম। এবং মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের।