দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ভয়াবহ বিস্ফোরণের সাক্ষী হলো এবার বাংলাদেশ। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। শুক্রবার রাত ৮.৩০ নাগাদ নামাজ পড়া ও প্রার্থনা করার জন্য বহু মানুষ মসজিদে এসেছিলেন, সেই সময়েই ঘটে এই ঘটনাটি। ওই বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলেই মারা যান অনেকে। আর কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁদের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হয়েছে যে, নারায়ণগঞ্জের মসজিদের মাটির নীচে রয়েছে গ্যাসের পাইপ। সেই পাইপ ফুঁটো হয়ে মসজিদের ভিতর প্রবেশ করে এবং ওই প্রার্থনাগৃহের মধ্যে অনেক গ্যাস জমতে শুরু করে। পরে কেউ বুঝতে না পেরে ইলেকট্রিক লাইট এর সুইচ অন করতেই সেখানে সশব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
গ্যাস বিস্ফোরণ থেকেই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা মসজিদ চত্বরে। এই আগুনের জেরেই এসি মেসিনগুলি ভয়ানক শব্দে ফেটে যায়। বিস্ফোরণের জেরে মসজিদের ভেতরের অংশ সম্পূর্ণভাবে তছনছ হয়ে গিয়েছে।
সেখানকার স্থানীয় পুলিশকর্তা জায়েদুল আলম জানিয়েছেন, “বিস্ফোরণটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিমে বায়াতুস সালা মসজিদে। শুক্রবার রাত ৮.৩০ নাগাদ নমাজ পড়ার জন্য অনেকেই মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন। প্রার্থনার শেষ পর্যায়ে এই বিস্ফোরণটি ঘটে।
অগ্নিদগ্ধদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে”।বাংলাদেশের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে,”মৃতদের এখনও শনাক্ত করার কাজ চলছে।কারণ তাঁদের দেহের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছে।
ডাক্তাররা জানান,মসজিদের ইমাম সহ ৪০ জনের চিকিৎসা এখনও চলছে হাসপাতালে। তাদের অনেকেরই শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গিয়েছে। সবাইকেই ভর্তি করা হয়েছে বার্ণ ইউনিটে। গুরুতর জখমদের মধ্যে মসজিদের ইমাম এবং একটি ছোট বালকও রয়েছে। মোট সাতজনের শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি ‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে’, একটি ‘ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে’ এবং একটি ‘তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের’ পক্ষ থেকে।