দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
‘রামগরুড়ের ছানা , নাকি হাসতে তাদের মানা’। সুকুমার রায়ের ছড়াটি আজকেও বেশ প্রাসঙ্গিক। অন্তত বিশ্বের একটি দেশ উত্তর কোরিয়া। কিম জং উনের দেশে হাসিতেও নিষেধাজ্ঞা। উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আগামী ১১ দিন দেশবাসীর হাসতে মানা। কারণ, দেশের প্রাক্তন শাসক কিমের বাবা কিম জং ইলের মৃত্যুবার্ষিকীর শোকপালন চলবে। কেউ এই সময় হাসতে পারবেন না, মদ্যপানও করতে পারবেন না। এই ১১ দিন উত্তর কোরিয়াবাসী থাকবে ‘রামগরুড়ের ছানা’ হয়ে।
আগে পোশাক, চুলের ছাঁট, স্টাইল – সব নিয়েই দেশবাসীর উপর ফতোয়া জারি করেছিলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। নিজের ইচ্ছে মতো চুলের ছাঁট বা হেয়ার কালার করতে পারবেন না উত্তর কোরিয়ার জনগণ। চুলের ছাঁট যদি রাষ্ট্রনেতা কিমের মতো হয়, তবে ষোলো আনা বিপদ। তাঁর ঠাঁই হয় কারাগারে। এছাড়া নাকে ফুটো করা নিষিদ্ধ এখানে। অবিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার তালিকা আরও দীর্ঘ। বিয়ে না হলে লম্বা চুল রাখতে পারবেন না নারীরা। চুল কেটে ফেলতে হবে।
এই তালিকা আরও দীর্ঘ। উত্তর কোরিয়াবাসীর হাসতে মানা। ‘একনায়ক’ কিমের জারি করা একাধিক ফতোয়া। তাতে আরও চাঞ্চল্যকর একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ৭ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন কিম জং উন। মৃত্যুদৃশ্য দেখতে পরিবারের লোকজনকে বাধ্য করানো হয়েছে।
শাসকদল এসব নিয়ে কড়া যে কণামাত্র খবরও সীমান্তের ওপারে প্রকাশ পায় না। দীর্ঘদিন ধরে এমনই চলেছে। আজকের আধুনিক যুগে অনেক কিছুই ফাঁস হয়ে যায়। কিমের একাধিক ‘অত্যাচারে’র কাহিনি আন্তর্জাতিক দুনিয়ার নজরে এসেছে। অবশ্য কুছ পরোয়া নহি কিমের। এখন ১১ দিন কোরিয়াবাসীর হাসির উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারির খবর জেনে রসিকরা প্রশ্ন তুলছেন – তবে কি এবার হাঁচতে বা কাশতে গেলেও কিমের অনুমতি লাগবে ?