দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
করোনার প্রথম ঢেউয়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল গোটা ইউরোপ। ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুর সাক্ষী থেকেছিল ব্রিটেন, ইতালি, ফ্রান্স সহ অধিকাংশ ইউরোপীয় দেশ। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবার শনাক্ত হওয়া করোনার নয়া প্রজাতি ওমিক্রন ইউরোপে ঝড় হয়ে আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন WHO ইউরোপীয় অঞ্চলের প্রধান হ্যান্স ক্লুগ। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি মহামারী ঝড় আসছে। ইউরোপের দেশ গুলির স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দেবে করোনার সংক্রামক প্রজাতির তাণ্ডব।’
আসন্ন বড়দিন ও বর্ষবরণের উৎসব নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন ক্লুগ। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, ব্রিটেন, নেদারল্যান্ডস সহ ইউরোপের ৫৩টি দেশের মধ্যে ইতিমধ্যে ৩৮টি দেশে থাবা বসিয়েছে ওমিক্রন। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। ব্রিটেনে ইতিমধ্যে ওমিক্রনে আক্রান্তদের ভিড় উপচে পড়ছে। রাশিয়া ও তুরস্কেও পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে চলেছে বলে আশঙ্কা WHO-র আধিকারিকদের।
WHO প্রধান টেডরস অ্যাডানাম গেব্রিয়েসাস ওমিক্রনের ছোবলে মানুষের মৃত্যু রুখতে উৎসব বাতিলের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। ‘উৎসবের চেয়ে প্রাণ অনেক বেশি মূল্যবান, তা বুঝতে হবে সবাইকে। উৎসব বাতিল করাই শ্রেয়।’ WHO-র ইউরোপীয় প্রধান হ্যান্স ক্লুগ বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও দেশে থাবা বসাতে চলেছে ওমিক্রন।
উল্লেখ্য, করোনার তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত ইউরোপে ৮ কোটি ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু মিছিল ১৪ লক্ষ ৯৪ হাজারের বেশি। রাশিয়াতে প্রাণ হারিয়েছেন তিন লক্ষের কাছাকাছি। গত ২৪ ঘন্টায় ব্রিটেনে করোনায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৯০ হাজার ৬২৯ জন ও ফ্রান্সে ৭২ হাজার ৮৩২ জন।’