দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা টিকার বুস্টার ডোজের ব্যবহার নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে। তারা জানিয়েছে বুস্টার ডোজের কারণে সারা বিশ্বে টিকার অভাব দেখা দিতে পারে। গরীব দেশ গুলিতেও এর প্রভাব পড়তে পারে দারুণভাবে। প্রসঙ্গত আমেরিকা আর ইউরোপের বেশ কিছু দেশে এই মুহূর্তে করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বে এমন কিছু দেশও আছে যেখানে মানুষ এখনও পর্যন্ত টিকার একটি ডোজও পাননি। বেশিরভাগ দেশে করোনা টিকার প্রথম দুটি ডোজের ৬ মাস পর বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে।
WHO-র ডিরেক্টার জেনারেল টেড্রাস অ্যাডনাম গব্রেসাস বলেছেন, ‘করোনার বুস্টার ডোজে মহামারী কমার বদলে বাড়তে পারে। আরও দ্রুতগতিতে ছড়াতে পারে। ভাইরাসের মিউটিশনও যথেষ্ট বেশি হবে। টিকা সেই দেশ গুলির পাওয়া উচিৎ যারা একটি ডোজও পায়নি।’ এই বয়ান সেই সময় সামনে এসেছে যখন আমেরিকা ঘোষণা করেছে ১৬ বছরের বেশি বয়স্ক সকলে বুস্টার ডোজ নিতে পারেন। গত মঙ্গলবার ইজরায়েল ঘোষণা করে তারা ৬০ বছরের বেশি বয়স্কদের টিকার চতুর্থ ডোজ দেবে।
টেড্রাস বলেছেন, করোনায় এমন মানুষের মৃত্যু বেশি হচ্ছে যারা টিকার একটিও ডোজ নেননি। কোনও দেশই বুস্টার ডোজে করোনা শেষ করতে পারবে না।’ মানুষকে রোগের গুরুতর প্রভাব থেকে বাঁচানো। বিশেষ করে ওমিক্রন আসার পর এটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
এটা জরুরী যে দেশে ভ্যাকসিন পৌঁছোয়নি অন্য দেশ গুলির তাদের সাহায্য করা উচিৎ। শুধুমাত্র ২০২২ এর দ্বিতীয় ষন্মাসিকে বিশ্বের সমস্ত বয়স্ক মানুষকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত টিকা থাকবে। WHO-র অনুমান, তাদের সদস্য দেশ গুলি এই বছরের শেষ পর্যন্ত নিজেদের ৪০ শতাংশ জনসংখ্যার টিকাকরণ করে ফেলবে।