দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
সংকটের মুখে গোটা বিশ্বকে দাঁড় করিয়েছে ওমিক্রন। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। বিশ্বের কয়েক লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই আক্রান্ত। ভারতেও বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এই সংকটকেই ‘শাপে বর’ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মত, উপসর্গ অত্যন্ত মৃদু হওয়ায় করোনার বিরুদ্ধে ওমিক্রন প্রাকৃতিক টিকার মতো কাজ করবে। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের মত, কেউ ওমিক্রনের শিকার হলে করোনার বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক ইমিউনিটি পেয়ে যাবে। সেটা হবে রক্ষাকবচ।
ইজরায়েলি চিকিৎসক-গবেষক আফসাইন ইমরানির পর্যবেক্ষণ, ওমিক্রন হল এমন একটি প্রাকৃতিক টিকা যা হাজার চেষ্টা করেও ওষুধ কোম্পানিগুলো বানিয়ে উঠতে পারেনি। ওমিক্রন আক্রান্তদের হাসপাতালে ভরতি হতে হচ্ছে না। অক্সিজেন লাগছে না। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে না। অর্থাৎ, করোনাকে ভয় পেতে শুরু করেছিল মানুষ, সেই উপসর্গ গুলি ওমিক্রন উপহার দিচ্ছে না। উলটে রোগের বিরুদ্ধে তৈরি করে দিচ্ছে রক্ষাকবচ।
মাত্র ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই গোটা বিশ্ব প্রাকৃতিক উপায়ে করোনার বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ পেয়ে যাবে। ওমিক্রনকে অভিশাপ না ভেবে বরং প্রকৃতির আশীর্বাদ ভাবাই ভাল। সংক্রামক বিশেষজ্ঞ, ডাঃ যোগীরাজ রায় জানাচ্ছেন, টিকা নেওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হলে বা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর টিকা নিলে বাড়তি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সুফল মেলে, তাই জোগাবে ওমিক্রন। মৃত্যুর হার থেকে বেঁচে যাবেন বহু মানুষ। ওমিক্রন নিয়ে অযথা উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তবে কোভিডবিধি মেনে সচেতন হওয়া অবশ্যই কাম্য।
ইতিমধ্যেই প্রমাণিত কোভিডের সবচেয়ে ভয়ংকর ভ্যারিয়ান্ট ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন প্রায় ৩ গুণ সংক্রামক। সুতরাং প্রাকৃতিক নিয়মেই ডেল্টাকে কোণঠাসা করে ফেলেছে করোনার এই নয়া অবতার। আক্রান্ত হলেও ওমিক্রনের হাতযশেই রোগী গুরুতর অসুস্থ হবেন না। অর্থাৎ, ওমিক্রন নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের উদ্বিগ্ন হওয়ার পক্ষে নন চিকিৎসকদের একাংশ।
ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সিদ্ধার্থ জোয়ারদার জানিয়েছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টটি অধিক সংক্রামক হওয়ায় জনগোষ্ঠীতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে। তবে ভুললে চলবে না, অ্যান্টিবডির সুরক্ষা ছাড়াও একে প্রতিহত করতে দেহে টি-লিম্ফোসাইট মেমরি কোষ মজুত রয়েছে।