দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
বিশ্ব জুড়ে দাপট দেখাচ্ছে Omicron। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, এই মুহূর্ত যাবতীয় ভ্যাকসিনকে ফাঁকি দিতে পারে করোনার এই নতুন স্ট্রেন। এরপরেই প্রশ্ন উঠছিল, কোভিডের এই ‘বিপদজনক’ স্ট্রেন থেকে কীভাবে পাওয়া যাবে মুক্তি ? প্রশ্ন যখন হাঁতড়ে বেড়াচ্ছেন বিশ্ব বাসী তখনই আশার কথা শোনালেন ফাইজারের CEO। সোমবার তিনি জানান, ওমিক্রনের ‘খেল খতম’ করতে একটি বিশেষ ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে। করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট থেকে যা সুরক্ষা দেবে সাধারণ মানুষকে।
মার্চ মাসেই ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য হাতিয়ার হিসেবে এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই এই ভ্যাকসিন তৈরি শুরু করেদিয়েছে ফাইজার জানান অ্যালবার্ট। তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মার্চ মাসেই এই ভ্যাকসিনটি তৈরি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই আমরা এই ভ্যাকসিনের কিছু ডোজ তৈরি করা শুরু করে দিয়েছি।’
অ্যালবার্ট জানান, শুধুমাত্র ওমিক্রন নয়, করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়্যান্টের বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দেবে এই নতুন ভ্যাকসিনটি। কীভাবে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফাইজারের CEO-র কথায়, ‘আমাদের আশা নতুন এই ভ্যাকসিন ওমিক্রন তথা করোনার হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে পারবে।’ বর্তমানে ফাইজার এবং মর্ডানা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ২০ সপ্তাহ পর তা ওমিক্রনের বিরুদ্ধে মাত্র দশ শতাংশ কাজ করছে। অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে এবং করোনার অন্যান্য স্ট্রেনের বিরুদ্ধে এই দুই টিকা অত্যন্ত কার্যকরী, জানাচ্ছে সমীক্ষা।
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউসের মুখ্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা: অ্যান্টনি ফাউচি ডিসেম্বর মাসে দাবি করেছিলেন, ওমিক্রন রুখতে আলাদা করে বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ আমেরিকায় করোনার তৃতীয় ডোজ তথা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। তৃতীয় ডোজ করোনার এই ভ্যারিয়্যান্টের বিরুদ্ধে কাজ করবে বলে আশাবাদী ছিলেন তিনি। ওমিক্রনকে রুখতে চতুর্থ ডোজ প্রয়োজন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফাইজার জানিয়েছে, ওমিক্রন ঠেকাতে টিকার আরও একটি ডোজ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে তারা।