দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন তাণ্ডব। বিশ্বের দেড় কোটি মানুষ নতুন করে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছে WHO। যদিও ওমিক্রন সংক্রমণের উপসর্গ খানিকটা মৃদু থাকায় এবার হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে ইউরোপের দেশ গুলি। ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনে ওমিক্রনের দাপট অব্যাহত থাকলেও খানিকটা আশা দেখছেন ইউরোপের বিশেষজ্ঞরা।
স্পেনের প্রশাসন নাগরিকদের জানিয়েছে, করোনা এন্ডেমিক ডিজিস। অর্থাৎ ফ্লু যেভাবে রয়েছে, তেমনই করোনাও থাকবে। একে নিয়ে মাথাব্যথা না বাড়িয়ে রোজের কাজ করে যাওয়াই বুদ্ধিমানের। ব্রিটেনে প্রতিদিন যেভাবে করোনা সংক্রমণের খবর আসছে, তার থেকে এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে গোষ্ঠী সংক্রমণের মাধ্যমেই হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে। তাই করোনা অতিমারী নিয়ে চিন্তার কারণ নেই।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ সাক্ষাৎকারে জানান, স্পেনে সংক্রমণ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে তাতে সন্দেহ নেই। তবে কমেছে হাসপাতালে ভরতির পরিমাণ। কমেছে মৃত্যুহারও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুঁশিয়ারি এড়িয়ে ওমিক্রনকে অনেকেই ‘লঘু’ করে দেখছেন। কেউ কেউ ইতিমধ্যে আশা প্রকাশ করেছেন, ওমিক্রনের বহুল সংক্রমণ সামগ্রিকভাবে প্রতিষেধকের কাজ করবে। সেটা হলে আলাদা করে আর প্রতিষেধক নিতে হবে না।
তবে বেলজিয়াম কাউকে টিকা নিতে জোর দিচ্ছে না। ফ্রান্স, জার্মানি কিন্তু দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন ‘মৃদু’ হলেও যাঁদের রোগ শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি, এই তৃতীয় তরঙ্গে চিন্তা তাঁদের নিয়েই বেশি। যদিও সব মিলিয়ে আশা করা যায়, ওমিক্রন হবে করোনার শেষের শুরু।