দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
ওমিক্রনেই ধীরে ধীরে শেষের পথে এগোবে করোনা, এমনই আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছিল বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের কথায়।এবার আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন গবেষকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রন শেষ নয়, করোনার আরও নতুন ভ্যারিয়্যান্ট তৈরি হতে পারে। সংশ্লিষ্ট ভ্যারিয়্যান্ট গুলির সংক্রমণ ক্ষমতাও হতে পারে অনেক বেশি এবং তা নতুন করে বিশ্ববাসীর চিন্তার কারণ হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে কি সম্ভাবনা রয়েছে নতুন ঢেউয়ের ?
এন্ডেমিক পর্যায়ে করোনা , অনেক বিশেষজ্ঞের মতামত ছিল এমনটাই। যদিও সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানিয়েছিলেন, এখনও এন্ডেমিক পর্যায়ে পা রাখেনি এই সংক্রামক ভাইরাস। তা ধীরে ধীরে সেই দিকেই এগোচ্ছে। যদিও এবার আশঙ্কার কথা শোনালেন বস্টন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক তথা মহামারী বিশেষজ্ঞ লিওনার্দো মার্টিনেজ। তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত ওমিক্রন ছড়াচ্ছে তত তার মিউটেশন হওয়ার সুযোগ থাকছে। আরও নতুন ভ্যারিয়্যান্ট তৈরি হতে পারে।’ নতুন ভ্যারিয়্যান্ট কতটা বিপজ্জনক হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, ওমিক্রনের পরে যদি কোনও ভ্যারিয়্যান্ট তৈরি হয় সেক্ষেত্রে কম সংক্রামক হবে এমনটা নয়। এমনকী, সংশ্লিষ্ট স্টেনের উপর টিকা কাজ করবে কিনা তাও গবেষণা সাপেক্ষ। একাধিক দেশে নতুন ঢেউয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওমিক্রন। সম্প্রতি ভ্যারিয়্যান্ট নিয়ে ফের বিশ্ববাসীকে সতর্ক করেছেন WHO প্রধান। তিনি বলেন,’ওমিক্রন আক্রান্তদের শরীরে মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত ভয়াবহ ভাইরাস। বিশেষত যাঁরা টিকা নেননি তাঁদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে করোনার এই ভ্যারিয়্যান্ট।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ভাইরাস এন্ডেমিক পর্যায়ের দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু, এখনও এন্ডেমিক পর্যায়ে প্রবেশ করেনি। এখনও বহু মানুষ করোনার টিকা পাননি। সেক্ষেত্রে এই ভাইরাসকে ছড়াতে দেওয়ার ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে। আফ্রিকাতে ৮৫ শতাংশ মানুষ এখনও করোনা টিকার প্রথম ডোজ পাননি। সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে।’ টিকাকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে করোনার দাপট শেষ করা সম্ভব, জানা তিনি।