দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
নতুন রূপে হাজির হচ্ছে করোনা। আমরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পেরিয়ে এসেছি। এবার বিপদের নাম ওমিক্রন (Omicron)। এই ভাইরাস গত বছরের নভেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম পাওয়া যায়। এমনকী ভারতেও ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এখানেও লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। সতর্ক হওয়া ছাড়া কোনও গতি নেই।
করোনার শুরুর সময় থেকেই এই রোগের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত ছিল বিশেষজ্ঞ মহল। তাই নিত্যনতুন ওষুধ বেরতেই থেকেছে। গত সপ্তাহতে নতুন করোনা ওষুধকে ছাড়পত্র দিয়েছে WHO। বিশেষজ্ঞদের কথায়, করোনার চিকিৎসায় বহু ওষুধ একেবারে জীবনদায়ী হিসেবে উঠে এসেছে। সেই ওষুধের ব্যবহার বহু মানুষকে বাঁচিয়ে তুলছে। ওমিক্রনের ক্ষেত্রে হচ্ছে মৃদু উপসর্গ। এক্ষেত্রে কি চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে? বিশেষজ্ঞদের কথায়, ওমিক্রনে বেশিরভাগ আক্রান্তের মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।
WHO নির্ধারিত কোভিড ওষুধ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিজেদের রিপোর্টে যে ওষুধ গুলিকে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে- ব্যরিসিটিনিব, রুক্সোলিটিনিব-টোফাসিটিনিব, সটরোভিম্যাব, ক্যাসরিভিম্যাব-ইমডেভিম্যাব, টোসলিজুম্যাব, সারিলুম্যাব। অন্য দিকে রুক্সোলিটিনিব টোফাসিটিনিব, সটরোভিম্যাব, ক্যাসরিভিম্যাব ইমডেভিম্যাব এই ওষুধ গুলি বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।
কোন ওষুধ রয়েছে বাদের খাতায়?
আইভারমেকটিন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, লোপিনাভির, রিটোনাভির, রেমেডিসিভর ওষুধ গুলিকে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে। ওষুধগুলি চিকিৎসার খাতা থেকে বাদ যাওয়ার কারণ হল, এই ওষুধগুলির মধ্যে কোনওটাই রোগীর মৃত্যুহার, হাসপাতালে থাকার সময় কমাতে পারেনি।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞ?
এই প্রসঙ্গে কলকাতার আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বলে দেওয়া গাইডলাইন মেনে চলতে হয়। আইভারমেকটিন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন জাতীয় ওষুধের করোনার চিকিৎসায় কোনও ভূমিকা পাওয়া যায়নি। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এই ওষুধ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হয়।