দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
বিশ্বে ত্রাস সৃষ্টি করছে করোনার নয়া ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রন। ইনস্টিটিউট অফ হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের একটি মডেল অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে গোটা বিশ্বে মোট ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হবেন। যা গতবছর এপ্রিল মাসে ডেল্টা প্রজাতিতে আক্রান্তের তুলনায় অনেক গুণ বেশি। ল্যানসেন পত্রিকায় প্রকাশিত মডেল জানাচ্ছে, নভেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাপী কোভিড সংক্রমণ ২০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা তার মধ্যে বেশি। ওমিক্রনের ক্ষেত্রেই উপসর্গহীন আক্রান্ত বেশি ধরা পড়ছে বলেও জানানো হয়েছে গবেষণায়। মূলত মোট ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ উপসর্গহীনরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন।
সংক্রমণ ক্ষমতা কম থাকলেও ওমিক্রনের ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের জেরে ফের বিশ্বের একাধিক দেশে হাসপাতালে ভিড় উপচে পড়ছে। প্রতিটি দেশের প্রশাসনের তরফে কোভিড মোকাবলিয়ায় একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত রোখা মুশকিল। আগামীদিনে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নেওয়ার পরও ওমিক্রন মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না বলেও জানাচ্ছে এই গবেষণা। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী চার মাসের দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করলেও সংক্রমণ বড়জোর ১০ শতাংশ কমতে পারে। যতদিনে দেশের সমস্ত মানুষের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়ে যাবে, ততদিনে ওমিক্রনের জেরে সংক্রমণের হার শিখরে পৌঁছে যাবে।
ল্যানসেটে প্রকাশিত এই গবেষণা রিপোর্ট বলছে, আগামী মার্চের মধ্যে বিশ্বের বিরাট সংখ্যক মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হবে। তারপর ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ, মাস্কের ব্যবহার, কোভিডের যথাযথ আচরণ বিধি ধীরে ধীরে এই সংক্রমণের হার কমিয়ে আনবে। ওমিক্রনেই শেষ নয়। ওমিক্রনের পর বিশ্বে আছড়ে পড়বে করোনার আরও অন্য প্রজাতিও। কিছু কিছু প্রজাতি ওমিক্রনের থেকেও ভয়াবহ হতে পারে। মূলত শীতের মরশুমে করোনার সংক্রমণের হার বাড়বে। টিকাকরণ, অ্যান্টিভাইরালের ব্যবহার, মাস্ক-স্যানিটাইজার কিছুটা হলেও নতুন প্রজাতির করোনাকে মোকাবিলা করতে সহায়ক হবে। ধীরে ধীরে কমবে মৃত্যুর হারও।
অন্য ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই বিশ্বে থাকবে এই ভাইরাসও। IHME ডিরেক্টর জানাচ্ছেন, ওমিক্রন ওয়েভের পর মহামারী আকারে না হলেও ফিরে আসবে কোভিড-১৯।