দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
একে ওমিক্রনে রক্ষে নেই, দোসর হল তার নয়া বংশধর। দ্রুত গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন। অধিকাংশ দেশে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কোভিড আক্রান্তের শরীরেই থাবা বসিয়েছে ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন। এবার আরও আতঙ্ক বাড়িয়ে আসছে ওমিক্রনের বংশধর। BA.1-র পর এবার ছড়িয়ে পড়ছে BA.2 প্রজাতির করোনা ভাইরাস। যাকে বলা হচ্ছে Omicron 2.0। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যকর্তারা।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত BA.2 ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা গোটা বিশ্বের মধ্যে খুব কম। ওমিক্রনের এই নতুন বংশধরকে এই মুহূর্তে ভ্যারিয়্যান্ট আন্ডার ইনভেস্টিগেশন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। অর্থাৎ এই নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন গবেষকরা। জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বরে প্রথম ওমিক্রনের এই বংশধরের জন্ম হয়। এই নয়া ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বে ৫৩। ব্রিটেনেই মূলত এর প্রভাব বেশি রয়েছে বলে খবর। মিউটেশনের পর্যায়তে রয়েছে এটি।
ওমিক্রনই শেষ করোনা ভ্যারিয়্যান্ট নয়। ভয়াবহ, দাপুটে ভ্যারিয়্যান্টের হদিশ পাওয়া যেতে পারে আগামী দিনে। দাবি করছেন কিছু গবেষক। বর্তমানে করোনার এই ভ্যারিয়্যান্টের দাপট দেখাচ্ছে বিশ্বের একাধিক দেশে। এবার বিষয়টিতে আলোকপাত করল WHO। WHO-র টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই ভাইরাস রূপ বদলাচ্ছে। ফলে তা ভবিষ্যতে কী রূপ নেবে তা এখনই বলা বা আন্দাজ করা সম্ভব নয়।’
এছাড়াও ওমিক্রন মাঝারি উপসর্গের জন্য দায়ী এবং ভ্যারিয়্যান্টের উপর কোনও ভ্যাকসিন কাজ করবে কিনা, প্রশ্নের জবাবে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য এখনও বিশেষজ্ঞদের কাছে নেই বলে জানা যাচ্ছে। ইনস্টিটিউট অফ হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের মডেল অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে গোটা বিশ্বে মোট ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হবেন। যা ডেল্টা প্রজাতিতে আক্রান্তের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ল্যানসেন পত্রিকায় প্রকাশিত এই মডেল আরও জানাচ্ছে, নভেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাপী কোভিড সংক্রমণ ২০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যাই তার মধ্যে বেশি।