দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
ডেল্টার তুলনায় কম ক্ষতিকর, উপসর্গ মৃদু হলেও কিন্তু ডেল্টার তুলনায় কয়েক গুণ দ্রুত ছড়াচ্ছে এই স্ট্রেন। কোনও ভাবে ওমিক্রনকে হালকা নজরে না দেখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এছাড়াও এই নতুন স্ট্রেন কিন্তু কম ক্ষতিকর নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানান মারিয়া ভ্যান কেরখোভ। তবে ওমিক্রনের সংক্রমণের কারণে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা কম। এমনকী সকলকে যে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হচ্ছে এমনটাও নয়। কিন্তু কিছু সংখ্যক মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে এবং বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনাও সামনে এসেছে। এক্ষেত্রে যাঁদের কোভিডের কোনও টিকাই নেওয়া নেই এবং শরীরে আগে থেকেই কোনও সমস্যা ছিল তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা বেশি। টিকা নেওয়া না থাকলে সংক্রমণের পর কিন্তু অবস্থা জটিল হচ্ছে।
তবে বেশ কিছুদিন ধরেইল শোনা যাচ্ছে, প্রায় সকলে কিন্তু আক্রান্ত হতে পারেন ওমিক্রনে। কিন্তু তথ্যের সঠিক কোনও ভিত্তি পাওয়া যায়নি। কেরকোভা জানান, ওমিক্রন ডেল্টায় তুলনায় অনেক গুণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। সেই সঙ্গে কিন্তু প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তার মানে এই নয় যে, সকলে আক্রান্ত হতে পারেন ওমিক্রনে। বাড়ছে কোভিডের আক্রান্তের সংখ্যা।
কিন্তু বারবার তাঁরা জোর দিচ্ছেন টিকাকরণের উপর। টিকাকরণই কিন্তু পারে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে। কমতে পারে মৃত্যু ঝুঁকি। পরবর্তীতে কোভিডের যে কোনও সংক্রমণ ঠেকাতে কিন্তু ভরসা এই টিকা। আমেরিকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফৌসি যেমন জানিয়েছিলেন, সেদেশে কোভিডে প্রায় সকলে আক্রান্ত হয়েছেন এবং পরবর্তীতে কোভিড আর পাঁচটা সাধারণ সংক্রমণের মতই রূপ নেবে। এখনই কোভিডের অতিমারী শেষ হয়ে যাচ্ছে এরকমটা কিন্তু বলছে না কেউ।
WHO-র প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস যেমন বলেছেন, অতিমারী কিন্তু শেষ হয়নি। এখনই এর শেষ এটাও কিন্তু বলা যাচ্ছে না। ওমিক্রন কোভিডেরই একটি ভ্যারিয়েন্ট। এই ভ্যারিয়েন্ট প্রথম ধরা পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায়। প্রায় দাবানলের মতই তা ছড়িয়ে পড়তে থাকে পৃথিবী জুড়ে। আবার বেশ কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, কোভিড হয়ত অতিমারী থেকে স্থানীয় রোগে পরিণত হবে। মানুষের মধ্যে সেই রোগকে প্রতিরোধ করার সহজাত ক্ষমতা তৈরি হবে। বিষয়টিতে এখনও কোনও রকম মান্যতা দেয়নি WHO। প্রচুর মানুষ প্রতিদিন কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং সামনে এসেছে মৃত্যুর ঘটনাও।