দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
করোনা ঠেকাতে মাস্ক আবশ্যক। একথা প্রথম দিন থেকে বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। উৎসবের দিনে বেশিরভাগ মানুষের মুখেই ছিল না মাস্ক। উধাও সামাজিক দূরত্বও। তারপরই কিন্তু বাড়তে শুরু করেছে কোভিডের গ্রাফ। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায় করোনা ভাইরাস। মাস্ক আবশ্যক। মাস্ক নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। কেউ বলেন সার্জিক্যাল মাস্কের কথা, কেউ বলেন কাপড়ের মাস্কের কথা। কেউ কেউ শুধুমাত্র N-95 মাস্ককেই মান্যতা দিয়েছেন। একমাত্র এই মাস্কই পারে কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে।
২০২০-এর মার্চ-এপ্রিলে যখন করোনার প্রকোপ শুরু হচ্ছে তখন কিন্তু কাপড়ের মাস্ককে মান্যতা দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কোভিড ঠেকাতে কাপড়ের ত্রিস্তরীয় মাস্ক ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে কোভিড যখন বাড়তে থাকল তখন কাপড়ের মাস্ক একরকম ব্যবহার না করার পরামর্শই দিয়েছিলেন তাঁরা। তুলনায় জোর দেওয়া হয়েছিল সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে। কিন্তু কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার না করারই পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। কাপড়ের মাস্ক কোভিড ঠেকাতে সহায়ক নয়, এমনটাই মন অনেক বিশেষজ্ঞেরই।
তুলান ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের মাইক্রোবায়োলজিস্ট চাদ রয় বলেছেন, কাপড় এবং সার্জিক্যাল মাস্ক কোনওভাবেই কোভিড সংক্রমণ পুরোপুরি আটকাতে পারে না। বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে অনেকটা বেশি। বারবার এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহারেরই নিদান দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
এন-৯৫ মাস্ক দ্বিমুখী পদ্ধতিতে কাজ করে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি সুরক্ষা দেয়। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে যেমন সমস্যা হয় না, তেমনই অ্যারোসল প্রবেশ করতে পারে না। আমেরিকার প্রেসিডেন্ড জো বাইডেন যেমন ঘোষণা করেছেন, তাঁর দেশের নাগরিকদের বিনামূল্যেই কিছু N-95 মাস্ক বিতরণ করা হবে। কমিউনিটি সেন্টার এবং স্থানীয় কিছু ফার্মেসিকে এই দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। বছরে যাতে আরও বেশি পরিমাণে এই এন-৯৫ মাস্ক তৈরি করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছে আমেরিকা।