দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
করোনা সংক্রমনের লক্ষণ শুধু শ্বাসযন্ত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি, মাথাব্যথা, পেশী ব্যথাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। করোনার ফলে ত্বকে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি। অ্যালার্জি বা চর্মরোগে আক্রান্তরা বিভিন্ন কারণে ত্বকের ফুসকুড়ি সহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকেন। উপসর্গহীন রোগীদের মধ্যেও চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। দেখুন একনজরে —-
১. করোনা আক্রান্ত হলে পায়ের আঙুলে লাল ও বেগুনি ফুসকুড়ি দেখা দেয়। অনেকটা ঘামাচির মতো হয়ে একসঙ্গে দানার মতো বের হয়। এজন্য একে কোভিড ডিজিট বলা হয়। চিলব্লেইনস নামে পরিচিত ত্বকের সমস্যা শীতকালে বেড়ে যায়।
২. অ্যাকজিমা হলো একটি প্রদাহজনক চর্মরোগ। ত্বক হয়ে ওঠে খসখসে, ত্বকে পুরো স্তর পড়ে, চুলকানি, ফাটল এমনিকি রক্তক্ষরণও হতে পারে অ্যাকজিমায়। অ্যাকজিমার ফুসকুড়ির ফলে চুলকানির সৃষ্টি হয়। অতীতে কখনো অ্যাকজিমা হয় তাদের ক্ষেত্রেও কোভিডের ফলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. হাইভ হল এক ধরনের ফুসকুড়ি। লালচে ও দানার মতো হয়ে থাকে। এর ফলে শরীরে চুলকানির সৃষ্টি হয়। আমবাত উরু, পিঠ, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে দেখা দিতে পারে।
৪. মুখের ফুসকড়ি এনান্থেম নামেও পরিচিত। কোভিডের আরেকটি লক্ষণ। ঠোঁটে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। যার ফলে মুখে শুষ্ক ও খসখসে অনুভূত হয়। ঠোঁটে কালশিটেও দেখা দিতে পারে। এমনকি এর ফলে মুখ ভেতর থেকে ফুলে যেতে পারে। খেতে ও কথা বলতে অসুবিধা হয়।
৫. এটি হল একটি বৃত্তাকার ফুসকুড়ি। যা সাধারণত বুকে, পেটে বা পিঠে অনেকটার চাকার মতো দেখা দেয়। হেরাল্ড প্যাচ নামে পরিচিত বৃত্তাকার প্যাচ ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত চওড়া হতে পারে। প্যাচলো সাধারণত ভাইরাল সংক্রমণের কারণে শরীরে দেখা দেয়। শিশু-কিশোরদের মধ্যে এ ধরনের চর্মরোগ দেখা দেয়।