দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
ওমিক্রন আতঙ্ক কাটতে না কাটতেই বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের আরেক নাম নিওকভ। যার সন্ধান পেয়েছেন করোনার আঁতুড়ঘর ইউহান শহরের গবেষকরা। তাঁদের দাবি এই ‘নিওকভ’ আগের সব স্ট্রেনের থেকে বিপজ্জনক এবং সংক্রামক। তবে এই প্রশ্নের কোনো স্পষ্ট কোনও উত্তর এখনও দিতে পারছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
নিওকভ নামের নয়া স্ট্রেনের অস্তিত্ব নিয়ে মুখ খুললেও WHO কোনও গাইডলাইন দিতে পারেনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছেন,”নিওকভ নামের স্ট্রেনটি মানুষের জন্য কতটা বিপজ্জনক তা বুঝতে হলে আরও তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন।” এরপরই উদ্বেগ বাড়িয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইঙ্গিত দিয়েছে আগামী দিনে করোনার এই নয়া স্ট্রেন মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ালে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। মানুষের শরীরে আসা ৭৫ শতাংশ সংক্রামক রোগ আসে কোনও না কোনও পশু থেকে। করোনা ভাইরাসও বিভিন্ন প্রাণির শরীরে দেখা যায়।
নিওকভ নতুন ভাইরাস নয়। এটা মিডল-ইস্ট রেসপিরেটারি সিনড্রোম ভাইরাসের সঙ্গে যুক্ত। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলিতে সংক্রমণ চোখে পড়ত। এই ভাইরাসটি সাধারণত মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটায় না। মূলত, পশুপাখির শরীরে সংক্রমণ দেখা যেত। ভাইরাসটি বাদুড়ের শরীরে সংক্রমণ ঘটায়। কিন্তু এক প্রতিবেদনে ইউহানের গবেষকরা দাবি করেছেন, এই NeoCoV এবং এর ‘নিকটাত্মীয়’ PDF-2180-CoV মানুষের শরীরেও সংক্রমণ শুরু করেছে। বাদুড় থেকে উটের শরীর হয়ে ভাইরাসটি মানুষের শরীরের সংক্রমিত হচ্ছে এই নিওকভ।