দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
যতই শান্তির সপক্ষে গড়ে উঠুক জনমত, বারবার যুদ্ধের মেঘ ঘনিয়েছে আকাশে। এই মুহূর্তে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপছে বিশ্ব। আগেও বারবার পরিস্থিতি অশান্ত হলেও এবারের মতো উত্তেজনা আগে তৈরি হয়নি বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। ফলে আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। কেবল দু’টি দেশের মধ্যে সংঘাতমাত্র হয়ে থাকবে। বদলে দেবে এই পৃথিবীর অনেক সমীকরণ।
যদিও গত তিনদিনে পরিস্থিতি কিছুটা শুধরেছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপরে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, প্যারিসে মস্কো ও কিয়েভের রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে হওয়া বৈঠকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। দু’পক্ষই ইঙ্গিত দিয়েছে যুদ্ধবিরতির। পরিস্থিতি যা, তাতে সাময়িক ভাবে যুদ্ধের সম্ভাবনা কিছুটা কমলেও শেষ পর্যন্ত যে যুদ্ধকে এড়ানো যাবে, একথা বলা মুশকিল।
শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোনদিকে তা গড়ায় তা জানতে এই মুহূর্তে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু কেন ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাইছে রাশিয়া ? শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ হলে তা কতটা প্রভাব ফেলবে বাকি বিশ্বে? ভারতে কী প্রভাব পড়বে?
কয়েক বছর ধরেই পূর্ব ইউক্রেনে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে ‘রাশিয়ার মদতপুষ্ট’ বিদ্রোহীদের লড়াই চলছেই। নির্বাচনে ইউক্রেনের নাগরিকরা রুশপন্থী এক নেতাকে দেশের সর্বোচ্চ পদ থেকে সরিয়ে দেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। একেবারেই ভালভাবে নেয়নি রাশিয়া। ক্রিমিয়া দখল করে মস্কো। তাদের উপরে এরপর একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা। কিন্তু রাশিয়া তাদের ‘রণং দেহি’ হাবভাব বদলানোর কোনও চেষ্টাই করেনি। উলটে নতুন করে মদত জুগিয়ে গিয়েছে
সামরিক জোট ন্যাটোর নেতৃত্বে রয়েছে আমেরিকা। এখনও ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণই জানায়নি। তবে ইউক্রেন লাগাতার আলোচনা চালিয়ে গিয়েছে। আর ততই ক্ষোভ বেড়েছে রাশিয়ার। গত কয়েক বছরে ইউক্রেনের সেনা ও রাশিয়ার মদতপুষ্ট বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে ১৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি না শুধরোলে আগামী দিনে রক্তক্ষয় আরও বাড়াই হয়তো নিয়তি। আর যুদ্ধ একবার প্রত্যক্ষভাবে শুরু হয়ে গেলে যে আরও কত ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি হবে তা বলাই বাহুল্য।