দ্যা ক্যালকাটা মিরর দিয়ে :
ওমিক্রনের থেকেও বেশি সংক্রামক তার বংশধর। অনায়াসে কুপোকাত করে দিচ্ছে করোনা টিকার বুস্টার ডোজকে। এমনটাই জানাচ্ছে ডেনমার্কের সাম্প্রতিক গবেষণা। কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেটেন্স সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ডেনমার্কের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণা রিপোর্ট বলছে , Omicron BA.1-এর থেকে BA.2 অনেক বেশি ক্ষতিকারক। টিকা প্রাপকদের শরীরে থাবা বসাচ্ছে নয়া স্ট্রেন। বুস্টার ডোজকেও অনায়াসে ফাঁকি দিচ্ছে ওমিক্রনের নয়া বংশধর।
গবেষক ফ্রেডেরিক প্লেসনার বলেন, ”Omicron BA.2-র সংস্পর্শে এলে মাত্র ৭ দিনের মধ্যেই ৩৯ শতাংশ ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে BA.1-র ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান ২৯ শতাংশ।” তিনি আরও বলেন, ”BA.1-র তুলনায় BA.2-এ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৩৩ শতাংশ বেশি।” মত ৫৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে BA.2। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে ভারতও। গোটা বিশ্বের পাশাপাশি এখন ভারতেও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে Omicron BA.2।
উদ্বেগের কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোলের ডিরেক্টর ডা. সুজিত কুমার সিং একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ”ভারতে এখন Omicron BA.2-র প্রভাব আরও প্রবল।’ দেশের কত শতাংশ মানুষ BA.2 ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, সেই তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই মুহূর্তে দৈনিক কোভিড আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশের শরীরে থাবা বসাচ্ছে ওমিক্রন। এমনটাও ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
গবেষণা জানাচ্ছে, BA.2-র সংক্রমণ ক্ষমতা আরও বেশি। বিশেষত টিকা প্রাপকদের শরীরে অনায়াসেই থাবা বসাচ্ছে এই স্ট্রেন। এমনকী, বুস্টার ডোজও এই স্ট্রেন মোকাবিলা করতে অপারগ। গবেষণা রিপোর্টে এও বলা হচ্ছে, বুস্টার ডোজ এবং ডবল ভ্যাকসিনেটেড ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্ট্রেনের প্রভাব খুব একটা মারাত্মক নয়। বিশেষ করে তাঁদের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন সেভাবে পড়ছে না।