দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: নদী মাতৃক দেশ বাংলাদেশ। শস্য শ্যামলা এই দেশের চকচকে ইলিশ থেকে রুই, কাতলা থেকে কৈ প্রায় সব মাছই পৃথিবী খ্যাত। বিশ্বব্যাপী রপ্তানী হয় এই মাছ। এপার ওপার দুই বাংলাতেই মাছের রাজা ইলিশ। সে স্বাদেই হোক বা দামে ইলিশ খাওয়া চাইই চাই সকলেরই। দক্ষিণ এশিয়ার সমুদ্রের এই মাছ ঝাঁকে ঝাঁকে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে উপকূল সংলগ্ন মিঠে জলে ডিম পারতে আসে। মাছের আড়তে বঙ্গোপসাগরের ইলিশের মূল্য সব চেয়ে বেশি। সে কারণেই মেঘনা, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র থেকে পাওয়া ইলিশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে সমগ্র বাংলাদেশে রূপোলি শস্য হিসেবে পরিচিত।
তবে এবারের গল্পটা একটু আলাদা। অক্সিজেনের অভাবে বাংলাদেশে প্রাণ গেল ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ সহ বিভিন্ন মাছের, যার দরুণ ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশী মুদ্রায় ১২ কোটি টাকা। ভারতীয় মুদ্রায় ১০ কোটি টাকা। মাছের পরিমাণ প্রায় ৬১৭ মেট্রিক টন। স্রেফ অক্সিজেনের অভাবেই মাছের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ঐ দেশের একাধিক খাল, বিল, নদী, পুকুরে মাছের প্রান গিয়েছে শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবে। মঙ্গলবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘হঠাৎ করে আবহাওয়ার বদল হওয়াতেই এই ঘটনা ঘটেছে। আকাশ মেঘলা ও ভ্যাপসা গরমের জন্যই মাছের মড়ক লেগেছে’। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার ফিশারি অফিসার অলক কুমার জানিয়েছেন, “আবহাওয়ার জন্য মাছেরা ঠিক মতো অক্সিজেন পায়নি। তাই মৃত্যু রোধ করা অসম্ভব হয়ে
পড়েছিল”।
মাছের মড়ক লাগায় মৎস ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম ক্ষতির সমুখে।এ অবস্থায় মরা মাছ কেউ বিক্রি করে দিচ্ছেন ৫০ টাকা কিলো দরে। কেউ আবার বিক্রি হবে না ভেবে মাছ বাজারে আনছেনই না, মাটিতে পুঁতে দিচ্ছেন। এইরকমই এক মৎস ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। পুরো বুধবার পচে যাওয়া মাছ তুলেছেন তাঁরা। কিছু মাছ পচে না যাওয়ায় অর্ধেকের কম দামে তাও বিক্রি করা গিয়েছে’।