দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
বিগত দুই বছর ধরে বার বার নতুন নতুন রূপ নিয়ে ফিরে এসেছে করোনা ভাইরাস। প্রত্যেক বার রূপ বদলের সময়ে নিজেকে অনেক খানি বদলে ফেলেছে মহামারী করোনা ভাইরাস। যার ফলে করোনার প্রথম যে রূপটির ভিত্তিতে একের পর এক টিকার কাজ শুরু হয়েছিল, তা এখন অনেকটাই প্রশ্ন চিহ্নের মুখে পড়েছে বারবার। তবে এমতাবস্থায় আবার কি বদলাতে পারে করোনা ভাইরাস ? নাকি ওমিক্রন দিয়েই শেষ হবে করোনার এই আতঙ্ক ? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা ? তবে এখনও পর্যন্ত করোনার মোটামুটি ৫টি রূপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল।
তার মধ্যে আল্ফা , বিটা , গামা , ডেল্টা তারপর বেশি সংক্রমণে স্ট্রেইন হল ওমিক্রন
এর মধ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। কিন্তু মারাত্মক আকার ধারণ বা মারণ ক্ষমতা সবচেয়ে কম। এর পরে কি করোনার আরও রূপ আসবে ? নাকি ওমিক্রনে শেষ ? আর যদি নতুন রূপ আসে, তাহলে কি সেটি ওমিক্রনের চেয়ে কম ক্ষতিকারক হবে ? নাকি ভয়াবহ ?
এমন সব প্রশ্ন অনেকে করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র তরফেও বলা হয়েছে, এমন কিছু ধরে নেওযার নেই যে, ওমিক্রন শেষ রূপ। এর পরে কী কী হতে পারে ? তারও একটা ধারণা দেওয়া হয়েছে। মূলত চার ধরনের পরিস্থিতির কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা।
১. আগামী দিনে করোনা হামের মতো একটি অসুখে পরিণত হবে। সদ্যজাতদের মধ্যে একবার করে হবে। সারা জীবনের মতো শরীরে এটির অ্যান্টিবডি থেকে যাবে।
২. এটি ক্রমশ Respiratory Syncytial Virus বা RSV-এর মতো ভাইরাসে পরিণত হবে। জীবনের প্রথম দু’বছরের মধ্যে অনেকের এটির সংক্রমণ হবে। খুব কম সংখ্যায় হলেও কাউকে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। বাড়াবাড়ি বিশেষ হবে না।
৩. ইনফ্লুয়েঞ্জা-র মতো হয়ে যেতে পারে এটি। প্রতি বছর অনেকের হবে। বছরের পর বছর টিকা নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৪. ভাইরাসটির সংক্রমণের হার কমবে, কিন্তু ইনফ্লুয়েঞ্জা বি-র মতো এটি বেশি মাত্রায় ছড়াবে শিশুদের মধ্যে। সমস্যা তুলনায় কম হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কী বলছে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ওমিক্রন কোভিডের শেষ রূপ, এমন ধরে নেওয়ার কারণ নেই। এটি আরও বিশেষ ভাবে ছড়াবে। কিন্তু সেই নতুন রূপ বেশি সংক্রামক হবে, নাকি দুর্বল হবে— সেটি বোঝার জন্য আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।