দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
নতুন বছরের শুরু থেকে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল ওমিক্রন-ঢেউ। ডেল্টার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি সংক্রামক ওমিক্রনে অসুস্থতার হার এবং হাসপাতালে ভর্তির হার কম। পরিসংখ্যান বলছে, জানুয়ারির শুরুতেই যেভাবে আমেরিকা, ইউরোপ, ভারতে লাফিয়ে বাড়ছিল করোনা সংক্রমণ, তার তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে অনেকটা কম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই কোভিডবিধি শিথিল করা হচ্ছে কয়েকটি দেশে।
সাধারণ মানুষের ধারণা, সম্ভবত এটি করোনার শেষ ঢেউ। কিন্তু আশঙ্কা প্রকাশ করে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, করোনা হয়তো কখনও যাবে না। এমনকী আরও কয়েকটি ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। তাই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলছেন বিজ্ঞানীরা। ইয়েল স্কুল অব মেডিসিনের এপিডেমোলজি বিভাগের অধ্যাপক আকিকো ইয়াসাকির বক্তব্য, কয়েক মাস পরপর করোনা ভাইরাস ঘিরে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। ডেল্টার মোকাবিলা করতে যখন টিকার কার্যকারিতার সফলতা উদযাপিত হচ্ছিল, সেই সময় ওমিক্রন নতুন করে ত্রাস সৃষ্টি করেছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে তা বলা যায় না। হতে পারে, নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের চেয়ে মৃদু বা ডেল্টার চেয়েও ভয়াবহ। সাউথ আফ্রিকান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের প্রধান এক্সিকিউটিভ অফিসার গ্লেন্ডা গ্রে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভাইরাসটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং নতুন মিউট্যান্ট আসছে তাই আরও নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিজ্ঞানীরা।