দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
আত্মসমর্পণের পথে ইউক্রেন? শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কিয়েভের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছে রুশ সেনা। যদিও ইউক্রেনের দাবি, বড়সড় প্রতিরোধ গড়তে পেরেছে তারা। ভোর থেকেই ইউক্রেনে ঝাঁপিয়ে পড়ে রাশিয়ান ফৌজ। দিনভর নানা জায়গায় হামলা চালিয়ে সন্ধের দিকে রাজধানী কিয়েভের দিকে এগোতে থাকে তারা। কিয়েভ, খারকভের বিমানঘাঁটি দখল করে সেসব তছনছ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, প্রথম দিনে যুদ্ধে ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গোটা বিশ্ব সন্ত্রস্ত হয়ে তাকিয়ে রয়েছে ইউক্রেনের দিকে। এখনও পর্যন্ত অবস্থা শোধরানোর মতো সম্ভাবনা তৈরি হয়নি।
ডনবাস পেরিয়ে শুক্রবার বেলারুশ সীমান্ত পেরিয়ে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। লাগাতার চলছে গোলাগুলি। মাথার উপরে পাক খাচ্ছে রুশ বিমান। তবে রুশ বাহিনীকে তাঁরা অনেকটা রুখে দিতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর চারটে থেকেই রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে।
সব মিলিয়ে ইউক্রেনে ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ার হামলায়। তাঁদের মধ্যে ১০ জন সেনা আধিকারিক রয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩১৬ জন। বাইডেন জানিয়েছেন, যদি পুতিন ইউক্রেনের পরে কোনও ন্যাটো গোষ্ঠী ভুক্ত দেশে ঢুকে পড়ে তাহলে তাঁদের জবাব দেবে ওয়াশিংটন। ফলে সারা বিশ্বের অবস্থা ক্রমশই ঘোরাল হচ্ছে পরিস্থিতি।