দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
চিন থেকে উৎপাদন নির্ভরতা কমাতে উদ্যোগ নিল Apple। আর ভারতে উৎপাদনে জোর দেওয়ার কথা ভাবছে মার্কিন সংস্থাটি। সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে চিনের একাধিক শহরে কড়া লকডাউনের কারণে Apple-র উৎপাদনে প্রভাব পড়ছে। চাহিদা মেটাতে সমস্যার পড়তে হচ্ছে কোম্পানিকে। Apple এর তৈরি মোট iPhone, iPad ও MacBookAir ল্যাপটপের 90 শতাংশ চিনে তৈরি হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন চিন থেকে উৎপাদন নির্ভরতা কমাতে চাইছে সংস্থাটি। চিনের কমিউনিস্ট সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কও খুব মধুর নয়, যা এই সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে Apple। যদিও কোম্পানির CEO টিম কুক জানিয়েছেন আমাদের সাপ্লাই চেন সম্পূর্ণ গ্লোবাল। গোটা দুনিয়ায় পণ্য উৎপাদন করি। তাই আমরা এই বিষয়ে আশাবাদী।”
চিন থেকে সরলে কোন দেশে উৎপাদনে জোর দেবে Apple ? রিপোর্টে জানানো হয়েছে উৎপাদনের জন্য কোম্পানির প্রাথমিক পছন্দ ভারত। সস্তায় শ্রমিক উপলব্ধ হওয়ার কারণে কোম্পানির উৎপাদনের খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যেতে পারে। চিনে লকডাউন শুরু হওয়ার পরেই গত মাসে জোগানে ঘাটতির ভবিষ্যতবাণী করেছিল Apple। চিনে লকডাউনের ফলে চলতি ত্রৈমাসিকে 8 বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বিক্রিতে প্রভাব পড়তে পারে।
সাংহাই সহ চিনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরে কোভিড সংক্রমণের জন্য লকডাউন চলছে দীর্ঘদিন ধরে। Apple এর প্রধান যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী সংস্থা Foxconn -র সদর দফতর ঝেংঝু শহরে। এই শহরেও দীর্ঘদিন ধরেই লকডাউন চলছে। আর লকডাউনের ফলে কোম্পানির ফোন উৎপাদনে বড় প্রভাব পড়েছে।
গত বছর বিশ্বব্যাপী তৈরি হওয়া মোট iPhone -এর 3.1 শতাংশ ভারতে তৈরি হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে চলতি বছর সেই সংখ্যা বেড়ে 7 শতাংশ হতে পারে। বাকি 93 শতাংশ iPhone এখনও চিন থেকেই উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।