দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: অসাধ্য সাধন! হ্যাঁ সত্যিই তাই, অন্তত ডাক্তাররা তাই বলছেন। প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে ১,২২০ দিন পর হুইলচেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালেন রবার্ট। আমেরিকার নাগরিক রবার্ট প্যায়লর, তিনি দীর্ঘদিন কোয়াড্রিপ্লেজিক নামক রোগে ভুগছিলেন। এই রোগের ফলে বিকল হয়ে পড়েছিল তাঁর দু’টি পা। সর্বক্ষণ হুইল চেয়ারে বসেই সব কিছু করতে হতো কিন্তু মনের অসম্ভব জোর, ইচ্ছাশক্তি এবং গায়ের সবটুকু শক্তি খাটিয়ে রোগাক্রান্ত হওয়ার ১,২২০ দিন পর হুইলচেয়ার থেকে নিজেই উঠে দাঁড়িয়ে এক আশ্চর্য অসম্ভবকে সম্ভব করলেন তিনি।


‘শারীরিক প্রতিবন্ধকতা’ -র ক্ষেত্রে ইচ্ছে বা জেদ শব্দ দুটি থাকলেই চলবে না তার সঙ্গে অবশ্যই থাকতে হবে মারাত্মক মনের জোর। আর ইচ্ছে,মনের জোড় এর সঙ্গে অদম্য জেদ থাকলে যে যেকোনো প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে যাওয়া যায় সেটা আরোও একবার প্রমাণিত হলো। যদিও এর আগে মানুষের অসাধ্য সাধন করে তাঁদের জীবিকা নির্বাহের কথা আমরা তো অনেকই দেখেছি অথবা পড়েছি। যেমন, পা না থাকা সত্ত্বেও বাঙালি ছেলে মাসদুরের দুরন্ত সাঁতার অথবা সম্পূর্ণ ভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও স্টিফেন হকিং-এর যুগান্তকারী আবিষ্কার। তবে এই দুইজন বাদে আরও প্রচুর উদাহরণ রয়েছে এই যেমন রবার্ট।
সম্প্রতি তাঁর এই কঠিন রোগকে জয় করে পায়ে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়ানোর ভিডিও শেয়ার করলেন নিজে টুইটারে। প্যায়লরের পোস্ট করা ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সে নিজের হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে ওয়াকারের সাহায্যে ধীরে ধীরে এগোচ্ছেন। ট্যুইটারে এই ভিডিও পোস্ট করে তিনি লেখেন, ”আজ প্রথমবার নিজের থেকে হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। ১,২২০ দিন পর আমি আমার জয় পেলাম, এর জন্য আমায় প্রত্যেকটা সেকেন্ডকে দাম দিতে হয়েছে। শ্রম দিবস এর থেকে আর ভাল ভাবে উদযাপন করা যায় না”।
উল্লেখ্য, ভিডিওটি টুইটারে পোস্ট হতেই ইতিমধ্যে তা ২.৮ মিলিওন ভিউ -র সঙ্গে সঙ্গে ১ লক্ষের উপরে লাইক পেয়েছে। ১৮ হাজারের বেশিবার রি-ট্যুইট হয়েছে এই ভিডিওটি। টুইটারের জনগণ রবার্টের এই উঠে দাঁড়ানোকে তাঁর শরীর ও মনের জয় বলেই মনে করছেন।