দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: প্রতিনিয়ত ভারতের সাথে সীমান্ত নিয়ে সংঘাতকারী চীন এক ধাপ এগিয়ে আবিষ্কার করেছে এক অদ্ভুত ন্যজাল বা নাকের জন্যে স্প্রে, যা নাকি করোনা ভাইরাস রোধে দারুন ফলপ্রসু আবিষ্কার!
উল্লেখ্য এই চীনের উহান প্রদেশেই প্রথম করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায় যা ক্রমে বৈশ্বিক মহামারীতে পরিণত। বিশ্বে ক্রমবর্ধমান মৃত্যু মিছিল ও সংক্রমণের হারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় সব দেশেই নানা রকম চীন্তাভাবনা চলছে। এর মধ্যে কয়েকটি দেশ আবার গবেষণাতে সাফল্যও পেয়েছে বলে দাবি করছে এই যেমন রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এমন কী আমাদের ভারত ও। কিন্তু সেই চেনা পথে না হেঁটে করোনা সুরক্ষায় একটি ন্যাজাল স্প্রে আবিষ্কার করেছে চীন।
চীনা মর্নিং পোস্ট এর খবর অনুযায়ী যার প্রথম ফেজের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নভেম্বরে শুরু হবে। মোট ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে। আপাতত এই ন্যজাল স্প্রে চীনের জাতীয় মেডিকেল প্রোডাক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এবং স্টেট এর অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি পেলেই এই ‘ন্যাজাল স্প্রে প্রিভ্যাকসিন’ এর পরীক্ষা শুরু করে দেবে চীনের নাম সিয়ামেন ইউনিভার্সিটি অফ বায়োলজিক্যাল ফার্মেসি সংস্থা।
তবে সূত্রের খবর, চীনের সঙ্গে যৌথভাবে হংকং এবং চায়না মেনল্যান্ড এই গবেষণার হাত লাগিয়েছে। এছাড়া ইউনিভার্সিটি অফ হংকং, সিয়ামেন ইউনিভার্সিটি অফ বায়োলজিক্যাল ফার্মেসি একযোগে কাজ করছে।
সিয়ামেন ইউনিভার্সিটি’র গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন সাধারণত করোনা সংক্রমণের যে পথ সেই পথেই ঢোকার মুখেই এই ভাইরাসকে ধ্বংস করবে এবং সেই সাথে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।
এই ন্যাজাল স্প্রে আসলে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে যৌথ নিরাপত্তা। উদাহরণ স্বরূপ যিনি ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নোবেল করোনাভাইরাসে ভুগেছেন তিনি এই ন্যাজাল স্প্রে ব্যবহার করলে এই গোত্রের যেকোনো রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
এর পাশাপাশি গবেষকদলের এক সদস্য যোগ করেছেন যে এই ন্যাজাল স্প্রে ভ্যাকসিনকে সম্পূর্ণভাবে বাজারে আনতে তাদের হয়তো আরও এক বছর সময় লাগবে। গবেষকরা মনে করছেন ইনজেকশনের চাইতে ব্যথাহীন স্প্রে অনেক বেশি কার্যকর ও সহজ। তাই আপাতত বিপুল পরিমাণে উত্পাদন সহজলভ্য করার উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানীরা ফারমা সংস্থাটির সাথে কাজ করে চলেছেন।
চীনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে স্বেচ্ছাসেবকদের নাম নথিভুক্ত করা হয়ে গিয়েছে। এদের ওপর স্প্রে’টির প্রাথমিক পরীক্ষা করে দেখা হবে যে এর কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অন্যান্য সমস্যাদি রয়েছে কিনা! পরীক্ষার ফলাফল যথাযথ হলে পরে এই স্প্রে ভ্যাকসিনটি বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে চীন। তবে আপাতত সেই দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্যই এই ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে।