দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: বৈশ্বিক করোনা মহামারীতে যে রাষ্ট্রপ্রধান নিজেকে অকুতোভয় বলেই মনে করেন, যিনি মুখ মাস্ক দিতে একবরেই অপছন্দ করেন, এবার কী তিনিই পড়তে চলেছেন করোনা’র গ্রাসে? এই জল্পনা তীব্র হয়েছে ঠিক তখনই যখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা হোপ হিকসের কোভিড ধরা পড়লো। সঙ্গে সঙ্গেই বমাল সমেত কোয়ারেন্টাইনে গেলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ও তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া। সূত্রের খবর মিনেসোটা থেকে একটি প্রেডেন্সিয়াল বিতর্ক সভা করে ফেরার সময় অসুস্থ বোধ করেন হিকস। তাঁকে প্লেনের ভেতরেই আলাদা করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরে তাঁর রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় তাঁর শরীরে করোনার ভাইরাস আছে।
স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে মার্কিনদের মধ্যে শঙ্কার মেঘ তৈরি হয়েছে। এমনিতেই সামনের মাসে আমেরিকাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আর ট্রাম্পের এই নির্বাচনী প্রচারের সিডিউল এখন সম্পুর্ণ ভর্তি। তাই নির্বাচন আগে না জীবন আগে এই প্রশ্নের মুখে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে যে তিনি আদৌ কোয়ারেন্টাইনে যাবেন কি না। যদিও এই বিতর্ক ওঠার পড়ে ট্রাম্প টুইট করেন তিনি করোনা পজিটিভ, তবে এই নির্বাচনের বাজারে ক’দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকেন তিনি সেটাই দেখার। কারণ, প্রায় সব সমীক্ষাই বলছে, নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হারের সম্ভাবনাই প্রবল। তাই ট্রাম্প এখন শাঁখের করাতে পরেছেন।
তবে করোনা’র হোয়াইট হাউস আক্রমণ এই প্রথম নয়, এর আগেও হোয়াইট হাউসের পশ্চিম অংশে ঢুকেছে করোনা, কিন্তু সেখানে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁরা কেউ হিকসের মতো দৈনিক ট্রাম্পের সংস্পর্শে আসতেন না। সেই কারণেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ঝুঁকি নিচ্ছেন না । উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই মার্কিন মুলুকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭০ লক্ষ মার্কিনবাসী, মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ মানুষের।
এর মধ্যে শুক্রবার ( মার্কিন হিসেবে আগামী কাল) ট্রাম্পের একটি ওয়াশিংটনে ফান্ডরেজার আছে। তারপর তাঁর ফ্লোরিডায় যাওয়ার কথা ছিল একটা নির্বাচনী সভায় অংশ নেওয়ার জন্য। কিন্তু এখন সবই অস্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ট্রাম্পের ৭৪ বছর বয়স, যা কোভিড হাই রিস্ক গ্রুপেই পড়ে। তাই ট্রাম্প যদি আক্রান্ত হন তাহলে তাঁর জীবনের ঝুঁকিও হতে পারে।
ট্রাম্পের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি কারণ চলতি সপ্তাহে বেশ কয়েকবার ট্রাম্পের সঙ্গে যাতায়াত করেছেন হোপ হিকস। এই হিকস ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পের মুখপাত্রের কাজ করেছিলেন। তারপর তিনি হোয়াইট হাউজে কম্যুনিকেশনস ডিরক্টেরের পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তাই এবারের ভোটের আগে ফের তিনি উপদেষ্টা রূপে ট্রাম্প টিমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।