দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: করোনার ভ্যাকসিন তৈরীতে মৃত্যু হতে পারে পাঁচ লক্ষ হাঙরের। করোনার দাপটে তটস্থ গোটা বিশ্ব। আক্রান্তের সংখ্যা লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলছে। বিশ্বে সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ৩ কোটি ৪২ লক্ষ মানুষ। মৃত্যুর পরিসংখ্যানটাও দশ লক্ষ অতিক্রান্ত হয়েছে ইতিমধ্যেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, এরকমই চলতে থাকলে মৃত্যুর সংখ্যা কুড়ি লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে।
এই প্যানডেমিক পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য কমবেশি বিশ্বের প্রায় সকল দেশগুলিতে চলছে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের তোড়জোড়। সামনে এসেছে বেশ কিছু ভ্যাকসিনের নামও, চলছে ট্রায়াল। তবে সময়ের সাথে করোনার ধর্ম বদলে যাওয়ায়, আপাতত কোনো ভ্যাকসিনই সেই ভাবে রুগীর দেহে সার্বির প্রভাব ফেলতে পারেনি।করোনা সুস্থ রোগীর ফের করোনায় আক্রান্ত হবার ঘটনা সামনে এসেছে একাধিক বার।বরং গবেষনায় উঠে এসেছে আরও এক ভয়াল তথ্য।
করোনা সারলেও সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে তার উপসর্গিক প্রভাব। ফলতো করোনার মহামারী থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে, এর প্রভাবশালী কোনো টিকা আবিষ্কার করা একান্ত বাধ্যতামূলক। তবে তা বানাতে গেলে, পাঁচ লক্ষ সামুদ্রিক হাঙরের প্রাণ সংশয় হতে পারে।


কারণ ভ্যাকসিন তৈরীতে যে ‘অ্যাজুভ্যান্ট’ লাগে যা কিনা একটি ফার্মাকোলজিক্যাল এজেন্ট, যার দ্বারা শরীরে ভাইরাস প্রতিরোধক ক্ষমতা বেড়ে ওঠে। এই বিশেষ উপাদানটি অর্থাত ‘অ্যাজুভ্যান্ট’ উপাদানটি পাওয়া যায় হাঙরের লিভারে।
গবেষনা বলছে, এই উপাদান শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়িয়ে তোলে তেমনই শরীরে ভ্যাকসিনের প্রভাবকে দ্রুত কার্যকরী করে।
তবে এত সংখ্যক হাঙরের মৃত্যুতে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে তার প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে একটি সামুদ্রিক প্রাণী রক্ষাকারী সংগঠন। সংগঠন সূত্রে জানানো হয়, শুধুমাত্র আমেরিকার জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন তৈরি করতেই অন্তত ২১ হাজার হাঙরকে মারতে হতে পারে।যা সরাসরি বাস্তুতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।
এর বিকল্প হিসেবে তাদের পরামর্শ, গাছ থেকে পাওয়া স্কুইলিন অয়েল, ভ্যাকসিনে ব্যবহারের কথা বলেছে ওই সংগঠন। বিশ্বে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে গদি সামলাতেই যেন তেনো প্রকার ভোটার আগে ভ্যাকসিন বাজারে আনতে চান ট্রাম্প।