দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:বৈশ্বিক করোনা মহামারীর জেরে অর্থনীতি’র বেহাল দশা। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন আশঙ্কা করছে যে বিশ্বব্যাপী বহু মানুষের চাকরি চলে যাবে অতি শীঘ্রই। মানুষ গৃহ বন্দী থাকায় এখন অনলাইন শপিং পোর্টালগুলিই ভরসা। সামনে উত্সবের মাস তাই মানুষ অনলাইনেই কিনছেন জিনিস কিন্তু ঠিক এই সময়ই দু: সংবাদ। বিশ্বের সর্ববৃহত্ অনলাইন শপিং সংস্থা অ্যামাজনের প্রায় ২০ হাজার কর্মী করোনায় আক্রান্ত।
সারা বিশ্ব ছাড়াও আমেরিকার প্রায় ৬৫০ শহরে ছড়িয়ে রয়েছে অ্যামাজনের ব্যবসা। বিভিন্ন পরিষেবা মিলিয়ে প্রায় ১৩ লক্ষ ৭০ হাজার জন কাজ করেন ওই সংস্থায়। মার্চ থেকে এখনো ওবধি করোনাকালে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড আক্রান্ত হলেন প্রায় ১৯,৮০০ জন অ্যামাজন কর্মচারী। বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানানো হয়েছে ওই ই-কমার্স সংস্থার তরফে। করোনার সময় সমস্ত অনলাইন সংস্থারা জারি করেছিল করোনার সময় কোনো গ্রাহকের সংস্পর্শে এসে লেনদেন করা যাবে না।তবে সেই সময় ও এক-দুজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেই এক ধাক্কায় আক্রান্তের সংখ্যাটা বেড়ে যায়।
অ্যামাজনের সঙ্গে প্রায় ১ লক্ষের উপর মানুষ করোনাকালে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। তবে এই প্যানডেমিক পরিস্থিতিতেও পরিষেবা চালু থাকায় রীতিমত আর্থিক মুনাফায় ফুলেফঁপে উঠেছেন, প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। অবশ্যি অ্যামাজনের তরফে জানানো হয়েছে, তারা যা আশঙ্কা করেছিল তার চেয়ে আক্রান্তর সংখ্যা অনেকাংশেই কম।
সমীক্ষা বলছে, এই পরিষেবায় ইতিমধ্যে আক্রান্ত ৩৩ হাজার মানুষ। অপরদিকে অ্যামাজন সংস্থার ওপরে সরকারি সর্তকতামূলক বিধিনিষেধ না মানার অভিযোগ তুলেছে অনেকেই।উল্লেখ্য আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ৬৫০টি কেন্দ্রে একদিনের করোনা পরীক্ষায় প্রায় ২০ হাজার কর্মীর রিপোর্ট পজেটিভ আসে।