দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’-এর প্রতিবেদন উল্লেখ করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে আগামী বড়দিনের মধ্যেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস টিকা অনুমোদন পেতে পারে।
পিটিআই এর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে বৈশ্বিক করোনা মহামারী প্রতিহত করার জন্যে বিশ্বের অন্যান্য ভ্যাকসিনের থেকে অ্যাস্ট্রোজেনেকা ও অক্সফোর্ডের ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’ আপাতত সবথেকে এগিয়ে। আর এই কারণেই যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থা চলতি বছরের ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সেটিকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিতে পারে।


এই বিষয়ে করোনার টিকা তৈরি ও বণ্টনের প্রক্রিয়ায় যুক্ত ব্রিটিশ সরকারের একটি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, অনুমোদনের পর ছ’মাস প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলতে পারে। এক সরকারি সূত্র এও বলেছেন যে, ‘প্রাথমিক টিকাকরণে ছ’মাসের মতো সময় লাগতে পারে। তবে পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে তার থেকেও কম সময় লাগতে পারার সম্ভাবনা রয়েছে।’
ব্রিটেনে টিকাকরণের প্রক্রিয়া নিয়ে গঠিত যুগ্ম কমিটি যে প্রোটোকল তৈরি করেছে, তাতে প্রথমে ৬৫ বছরের উর্ধ্বে যারা প্রবীণ, তাদের টিকা দেওয়া হবে। এরপর ৬৫ বছরের নীচে যে প্রবীণদের ঝুঁকির মাত্রা বেশি, তাঁরা টিকা পাবেন। এর মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং যাঁদের গুরুতর শারীরিক সমস্যা আছে, তাঁদেরও টিকা দেওয়া হতে পারে। এর পরের ধাপে যথাক্রমে ৫০-এর উর্ধ্বে বয়সী মানুষ ও তাঁদের থেকে কম বয়স্করা এই টিকা পাবেন।
ইতিমধ্যে এই সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়াকে এই টিকার ১০০ মিলিয়ন ডোজের বরাত দিয়েছে ব্রিটেন। তারা এটা করে রেখেছেন যাতে একবার অনুমোদন মিললেই টিকাকরণের ক্ষেত্রে মোটেও সময় নষ্ট না হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এর ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষের আগেই ‘ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট’-এর ফলাফল স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করছেন অক্সফোর্ড ও অ্যাজানেক্সা’র বিজ্ঞানীরা।