দ্যা ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সংবাদমাধ্যমকে বলা হয় গনতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং সাংবাদিকতাকে কে বলা হয় নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ। কিন্তু আদৌ কি কথাদুটিরটির যথাযথ স্বাধীনতা আছে! কোথাও যেন সেই প্রশ্নটাই উস্কে দিল এই ঘটনা। রুশ সাংবাদিক ইরিনা স্লাভিনা, সরকারের বিপক্ষে একটি খবর লেখেন,যার মাশুল তাঁকে দিতে হল, তাঁর প্রানের বিনিময়ে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাশিয়ার নিঝনি নোভগোরোদ শহরে। যেখানে একটি নিউজ ওয়েবসাইটে মুখ্য সম্পাদকের কাজ করতেন ইরিনা। বিশেষ সূত্রে খবর, ওই সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সহ তার বেশ কয়েকজন সঙ্গীর বিরুদ্ধে কিছু তদন্তমূলক খবর তাঁর নিউজের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর লেখা খবর ওয়েবসাইট এ প্রকাশ হতেই ,আচমকা তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ-বাহিনী, চলে খানাতল্লাশিও। মানসিকভাবেও তাকে বিপর্যস্ত করা হয় বলেও জানান ওই রুশ সাংবাদিক।
এই অপমান মেনে নিতে পারেন নি তিনি। অবশেষে চরম হেনস্হার প্রতিবাদস্বরূপ, নোভগোরোদের পুলিশ হেড কোয়াটারের সামনে ,প্রকাশ্যে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই সাংবাদিক। তবে আত্মঘাতী হবার আগে ক্ষোভ জানিয়ে নিজের ফেসবুকে লিখে যান ‘‘আমার মৃত্যুর জন্য আপনারা রুশ ফেডারেশনকেই দায়ী করবেন”। যদিও পুলিশি তরফে তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে,তার বাড়িতে হওয়া পুলিশি হানার অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলেই দাবি করেছে।
উল্লেখ্য, ইরিনার মৃত্যুতে পথে নেমেছেন সেখানকার সাংবাদিক, সমাজকর্মী সহ একাধিক মানুষেরা। প্রথমে নাভালনিকে বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টা তারপর আবার ইরিনার চাপের মুখে আত্মহত্যা,একের পর এক এমন ঘটনা, বারবার আঙুল তুলছে সেখানকার সরকারের দিকেই। বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনিও ইরিনার মৃত্যুতে পুতিন সরকারকেই দুষেছে। তিনি লিখেছেন, ‘‘ঘটনাটি ভয়ানক। ইরিনার বিরুদ্ধে রাজনীতির অপরাধমূলক মামলা সাজানো হচ্ছিল। ওর মৃত্যুর জন্য এই সরকারিই দায়ী।
তবে কি সত্যিই সাংবাদিকতা থেকে উঠে যাবে নিরপেক্ষতা, রুশ সাংবাদিক ইরিনা স্লাভিনার এই আত্মহননে প্রশ্ন রয়ে গেলেও উত্তর মেলা ভার।