দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ব্রিটেনের রজার পেনরোজ, জার্মানির রেইনহার্ড গেঞ্জেল এবং আমেরিকার আন্দ্রেয়া ঘেজ মহাবিশ্বের অন্যতম রহস্যময় বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেই গবেষণা চালিয়ে সন্ধান পেয়েছেন নতুন এমন সব বিষয়ের, যা দীর্ঘকালীন রহস্যের উদঘাটনে নতুন দিগন্তের সন্ধান দিয়েছে। মহাবিশ্বের দীর্ঘসময়ের রহস্য-‘ব্ল্যাক হোল’ সংক্রান্ত গবেষণার জন্য এবার পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন এই তিন পদার্থ বিজ্ঞানী।
আজ মঙ্গলবার নোবেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, নোবেলের একটি অংশ পাচ্ছেন ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক রজার পেনরোজ। গণিতের ফর্মুলা ব্যবহার করে ৮৯ বছরের বিজ্ঞানী প্রমাণ করেছেন যে আপেক্ষিকতাবাদের সাধারণ তত্ত্বের প্রত্যক্ষ পরিণতি হল ব্ল্যাক হোল।
নোবেলের অপর অংশটির একভাগ পাচ্ছেন জার্মানির রেইনহার্ড গেঞ্জেল যিনি জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর এক্সট্রাটেরেস্টিয়াল ফিজিক্সের অধিকর্তা। ৬৮ বছরের এই বিজ্ঞানী আমেরিকায় বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেন। তিনি আমেরিকার আন্দ্রেয়া ঘেজের সঙ্গে যৌথভাবে মহাকাশে একটি অদৃশ্য এবং অত্যন্ত ভারী বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন। যে বস্তুটি ছায়াপথের কেন্দ্রে থেকে নক্ষত্রদের কক্ষপথকে নিয়ন্ত্রণ করে।
অন্যদিকে নোবেলের দ্বিতীয়ভাগের আর এক অংশ প্রাপ্তা আন্দ্রেয়া ঘেজ লস অ্যাঞ্জেলসে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করেন। তিনি নোবেলের ইতিহাসে চতুর্থ মহিলা হিসেবে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন। তাঁর বয়স ৫৫ বছর। তাঁর আগে ১৯০৩ সালে মেরি কুরি, ১৯৬৩ সালে গোপার্ট মায়ের এবং ২০১৮ সালে ডোন্না স্ট্রিকল্যান্ড পদার্থবিজ্ঞানে অসামান্য কীর্তির জন্যে এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।
নোবেল কমিটির পদার্থ বিজ্ঞানের চেয়্যারম্যান ডেভিড জানিয়েছেন, ‘কমপ্যাক্ট’, ‘সুপারম্যাসিভ’ বস্তুর গবেষণার ক্ষেত্রে যুগান্তরকারী আবিষ্কার এটা। তবে এই বিষয়গুলি নিয়ে এখনও অসংখ্য প্রশ্ন লুকিয়ে আছে। যা ভবিষ্যতে আরও গবেষণার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীদের অনুপ্রাণিত করবে। আপাতত পুরস্কারমূল্যের এক কোটি সুইডিশ ক্রোনার (১.১ মিলিয়ন ডলারের মতো) তিন গবেষকের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।