করোনা মহামারী পরিস্থিতির কারণে রাজধানী ঢাকায় এবার কুমারীপূজাও হবে না। মন্দির বন্ধ হয়ে যাবে রাত ন’টার মধ্যে। হবে না বিজয়ার শোভাযাত্রা। এছাড়া কোভিড পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ লাভের জন্য বিশেষ প্রার্থনাও করা হবে।
শনিবার ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পূজা উদ্যাপন পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মণ্ডল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, জে এল ভৌমিক, পূরবী মজুমদার, সুভাষ বিশ্বাস প্রমুখ।


পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়ার পর দেবীপক্ষের সূচনা হলেও এ বছর আশ্বিন মাস ‘মলমাস’ হওয়ায় বরাবরের মতো দেবীপক্ষে দুর্গাপূজা শুরু হয়নি। এর ১ মাস ৫ দিন পর হেমন্ত ঋতুর কার্তিকে অর্থাৎ আগামী ২২ অক্টোবর ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হবে।
সন্ধ্যার মধ্যেই আরতি সম্পন্ন করে দর্শনার্থীদের মন্দিরে আসতে নিরুৎসাহিত করা হবে। রাত নয়টার পর মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর কোনো দর্শনার্থীদের মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এর পাশাপাশি ভক্তরা যেন তাদের বাড়ি থেকে অঞ্জলি দিতে পারেন, সে জন্য সম্ভব হলে মন্দিরগুলোর তরফ থেকে ডিজিটাল ব্যবস্থা করা হবে।
মন্দিরে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা প্রবেশের ব্যবস্থা থাকবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে, মাস্ক ব্যবহার করে ভক্তরা অঞ্জলি দিতে পারবেন। বিজয়া দশমী হবে ২৬ অক্টোবর, তবে এবার বিজয়ার শোভাযাত্রা হবে না। মন্দিরগুলো তাদের নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করবে।
এবার দেশটিতে মোট ৩০ হাজার ২৩১টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর পূজা হয়েছিল ৩১ হাজার ৩৯১টি। এবার ১ হাজার ১৮৫টি পূজা কম হচ্ছে।
স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদ থেকেই মূলত এবার ঢাকায় কুমারীপূজা হবে না। তবে সপ্তমী তিথিতে দুপুর ১২টা ১ মিনিটে সব মন্দিরে কোভিড পরিস্থিতি থেকে মুক্তি এবং সবার আরোগ্য কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মহামারী থেকে পরিত্রাণ লাভের জন্য মন্দিরে মন্দিরে প্রার্থনা করা হবে।