দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: ভক্তদের জন্য সুখবর। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে কালীঘাটের কালী মন্দিরের মায়ের গর্ভগৃহের দরজা। বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বন। তাই এই করোনা পরিস্থিতিতে ও সবরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনেই উৎসবের জোয়ারে মেতে উঠেছেন আপামর বাঙালী। তাই পুজোর সময় কালীঘাটের দরজা খোলা বাঙালী ভক্তকুলের জন্য এক অন্যরকম সুখবর। বুধবার অর্থাৎ মহাপঞ্চমীর দিন সকালে এই মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনার পরিস্থিতিতে আগেও একবার মন্দির খোলা হলেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল গর্ভগৃহে প্রবেশ। এবার সেই আক্ষেপই মিটল ভক্তদের। তবে এখনও একইভাবে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা-সহ অন্যান্য করোনা বিধি মেনেই চলতে হবে ভক্তবন্দ সহ সেখানকার পুরোহিতদের।
রবিবার কালীঘাট মন্দির কমিটির সহ তাঁরামাতার সেবায়েত সংঘ মিলে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেখানে জানানো হয়, ‘পুরোহিত কিংবা ভক্ত সবাইকেই মেনে চলতে হবে সরকারি বিধি নিষেধ।আগামী বুধবার থেকে ভোর ছ’টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যে ছটা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত খোলা থাকবে মায়ের মন্দিরের গর্ভগৃহ।এছাড়াও তাঁরা জানান, মন্দিরে একসঙ্গে দশ জনের বেশি ভক্তরা মায়ের গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে করোনা পরিস্থিতিতে মায়ের দর্শনের ক্ষেত্রে সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।প্রত্যেকে সমান ভাবে দর্শনের সুযোগ পাবেন বলেও তাঁরা জানান’।
ওই দিন মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বাবলু হালদার জানান,”অনেকদিন ধরেই অনুরোধ আসছিল। শনিবার সন্ধ্যায় আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। গর্ভ গৃহ খুলে দেওয়া হলেও আপাতত করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে কিছু বিধি নিষেধ মেনে গর্ভ গৃহ দর্শন করতে করতে হবে।”
তারাপীঠ ইতিহাসে এই প্রথমবার কৌশিকী অমাবস্যাতেও ভক্তদের জন্য বন্ধ ছিল তারাপীঠ মন্দিরের দরজা। প্রতিবার এই সময় মন্দিরে লাখ লাখ মানুষের ঢল নামে।তবে করোনা পরিস্থিতিতে এবছর কৌশিকী অমাবস্যায় ফাঁকা ছিল তারাপীঠ সহ মন্দির চত্বর। কারণ, সেই তিথির ঠিক আগে আগেই ১ অগস্ট থেকে দ্বিতীয় দফায় মন্দির বন্ধ করা হয়েছিল।তবে আবার ও দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে কালীঘাটর মন্দিরের গর্ভগৃহ খুলে যাওয়ায় খুশি ভক্তকুল।