দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: লোকাল ট্রেন কবে থেকে চালু হবে যদিও তার সঠিক হদিস দিচ্ছেন না রেল বা রাজ্য কেউই। তবুও এই রাজ্যে শহরতলির ট্রেন চালাতে যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে পূর্ব রেল, সেই ছবিই ধরা পড়ল স্টেশনে স্টেশনে। যা ছবি দেখা যাচ্ছে তাতে এক বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে তাঁরা। শহরতলির স্টেশনগুলিতে আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে রেল। ফলে লোকাল ট্রেন চালু হলে আর কী কী পরিবর্তন হবে স্টেশনগুলিতে সেটা নিয়েই এখন জোর চর্চা চলছে যাত্রী মহলে। কী সেই পরিবর্তন?
আজ দেখা গেল শহরতলির বেশিরভাগ স্টেশনেই যে একাধিক প্রবেশ ও নির্গমন পথ রয়েছে সেগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে রেল। প্রত্যেক প্ল্যাটফর্মে ঢোকা ও বের হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পথ, ফুট ওভারব্রিজ বাদ দিয়ে শেষ দুই প্রান্তে টিনের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করল পূর্ব রেল। বিশেষ করে স্টিল ও টিনের বেড়া বা রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে প্ল্যাটফর্মের দুই প্রান্তে।
রেল আধিকারিক সূত্রে খবর সাধারণ যাত্রীদের অবাধ প্রবেশ রুখতেই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন। কিন্তু কেন এই বেড়া? হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান জানিয়েছেন, যাতে প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন অংশ দিয়ে যাত্রীরা অবাধে প্রবেশ করতে না পারেন তাই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি এও বলেন যে রেলের মূল লক্ষ্য, ট্রেন চালু হলেই যাতে ট্রেন ধরতে প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের ঢল না নামে সেটাই নিশ্চিত করা। করোনা আবহে Local Train চালু হলেও মেনে চলতে হবে সোসাল ডিসট্যান্সিং সহ একাধ্ক বিধি। তাই মেট্রোরেলে যেমন এক এক করে চেক করে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে তেমনভাবেই শহরতলির স্টেশনগুলোতে প্রবেশ করবে।
রেল সূত্রে খবর এই মূহুর্তে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে চারপাশ খোলা ও রোড সাইড স্টেশনগুলিতে। যেখানে স্টেশনে ঢোকা ও বেরোনোর একাধিক পথ রয়েছে। সেগুলির বেশিরভাগই বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দুটি গেট খোলা রাখা হবে পারলে, সেক্ষেত্রে আরপিএফ ও রেল পুলিশ যাত্রীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। সুবিধেও হবে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রীদের স্টেশনে প্রবেশ করাতে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে রেলমন্ত্রক রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই দুটি চিঠি দিয়েছে। যার কোনটিরও উত্তর দেয়নি রাজ্য সরকার। ফলে পূর্ব রেলের কর্তারাও লোকাল ট্রেন চালুর দিনক্ষণ ঠিক করতে পারেননি। এই প্রসঙ্গে শিয়ালদার ডিআরএম জানিয়েছেন, ‘আলোচনার পর রাজ্য যদি কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করে তবে সেগুলি চালু করতে কিছুটা সময় লাগবে, প্রস্তুতিও নিতে হবে রেলকে। তাই আগেভাগেই কিছু কাজ এগিয়ে রাখা হচ্ছে। স্টেশনগুলিতে ঢোকার বিভিন্ন পথ বন্ধ করা হচ্ছে’।
অপরদিকে অন্য সূত্র মারফত যা জানতে পর গিয়েছে তাতে রেল কর্তাদের একাংশের দাবি, পুজোর দিনগুলিতে যাতে সাধারণ যাত্রীরা স্টাফ স্পেশাল ট্রেনগুলিতে উঠে পড়তে না পারে তার জন্যই এই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যা পুজো পরবর্তী সময়েও ট্রেন চালানোর সময় কাজে আসবে। উল্লেখ্য, এই মূহুর্তে রোজ রেলকর্মী ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিশনে ১৩০টি ইএমইউ ট্রেন ও হাওড়া ডিভিশনে ৫২টি লোকাল ট্রেন চালানো হচ্ছে।