দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: অশান্ত দার্জিলিং, তরুণ পুলিশ অফিসার অমিতাভর অকাল মৃত্যু আর ৩ বছরের অজ্ঞাতবাস। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং এর টানটান উত্তেজনার এই জীবনচলচ্চিত্রের এটা কী তাহলে মধ্যান্তর? এমন প্রশ্ন উস্কে দিয়ে নতুন টুইস্ট নিয়ে হাজির বিমল গুরুং। আজ সল্টলেকের একটি বিলাস বহুল হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূলের হাত ধরছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভূয়সী প্রশংসা করলেন পুলিশের খাতায় ‘ফেরার’ গুরুং। যদিও তাঁর দাবি, এব্যাপারে তৃণমূলের সঙ্গে এখনো কোনও কথা হয়নি তাঁর।


ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। আজ হঠাৎই কলকাতায় উদয় হন বিমল গুরুং। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহযোগী রোশন গিরি। সাংবাদিক বৈঠকে গুরুং বলেন -“আমি এখনো মনে করি গোর্খাল্যান্ড গঠনের মাধ্যমেই আমাদের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব। মোদী আমাদের কথা রাখে নি। সেই জন্যে আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে সক্ষম মমতা ব্যানার্জীকেই নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাই। ওনার সাথেই এগোতে চাই এবার।”
এই প্রসঙ্গের পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তোলেন গুরুং। বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারবার গোর্খাল্যান্ড গঠনের আশ্বাস দিলেও ৬ বছরে সেই দাবি পূরণ হয়নি। তাই আমরা বিজেপির সঙ্গ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাকে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা পালন করেছেন। তিনি আদর্শ নেত্রী। আমরা চাই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাই মমতাকে। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে লড়তে চাই।


নিজের সাফাইয়ে তিনি বলেন-” আমি কোনও দুষ্কৃতী বা দেশদ্রোহী নই। রাজনৈতিক আন্দোলনে সামিল হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সেই ব্যাপারটা আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া যাবে।” এর পাশাপাশি গুরুং বলেন-” তিন বছর দিল্লিতে থাকলেও গত ২ মাস ঝাড়খণ্ডে ছিলেন তিনি।”
গুরুং এর এই রাজনৈতিক ভোলবদল নি:সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে একটা নতুন চাল। যদিও এই ইস্যু কে কেন্দ্র করে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য “পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে কারা ভাঙতে চাইছে সেটাই এবার বাঙালি দেখুক।” খুব স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধী দল গুলোতে এই মূহুর্তে এই বিষয়টি যে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু তা বলাই বাহুল্য।